রূপগঞ্জে খাবারের হোটেলে নিষেধাজ্ঞা নেই

দুর্ভোগ শীর্ষ সংবাদ

নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম:

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে রূপগঞ্জে হোটেল , রেস্টুরেন্ট এবং বেকারী খোলা রাখতে পারবে। খাবারের দোকান বা হোটেল বন্ধ রাখার উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে হোটেলে রেস্টুরেন্টে বসে কেউ খাবার খেতে পারবে না। পার্সেলে করে খাবার নিয়ে বাসায় বা নিরাপদ স্থানে খেতে হবে । রূপগঞ্জে বিপুল পরিমাণ  শিল্পকারখানার শ্রমিক, ট্রাক চালক এবং হেলপার রয়েছে। তারা চলমান করোনা দুর্যোগে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহে প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে। রূপসী সিটিসহ বেশ কিছু মিলে শ্রমিকরা কাজ করছে। 

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম নিউজ রূপগঞ্জ ডটকমকে বলেন, হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও বেকারী বন্ধ রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা নেই। হোটেলে বসে খাবার খাওয়া যাবে না। জনসমাগম করা যাবে না। হোটেল থেকে খাবার পার্সেলে করে নিয়ে নিরাপদ স্থানে খেতে হবে।  সবাইকে মাস্ক পড়ে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চালাফেরা করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন এবং সরবরাহে শ্রমিকরা কাজ করতে পারবে।  

প্রসঙ্গত করোনা আতঙ্কে কাপছে সারা বিশ্ব। করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশে সরকারী-বেসরকারী সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। করোনার প্রভাব পড়েছে রূপগঞ্জেও । করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা প্রচার অভিযান চালাচ্ছে। বিদেশ ফেরতদের আইন ভঙ্গের শাস্তি সম্পর্কে অবহিত করা হচ্ছে।  বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। হোম কোয়ারেন্টাইন কার্যক্রম যথাযথভাবে চলছে। নারায়ণগঞ্জ জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ জন। তার মধ্যে আরোগ্য লাভকারী ২ জন। আইসোলেশনে ১ জন্য রয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলার কেউ মৃত্যুবরণ করে নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ৩৫২ রয়েছে। ১ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিদেশ থেকে মোট প্রত্যাগত ৫ হাজার ৯শ ৬৮ জন। ঠিকানা ও অবস্থান চিহ্নিত বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তি মোট ২৮০ জন। সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র ৬ টি। কোভিড ১৯ চিকিৎসায় প্রস্তুতকৃত  বেড ৩০ টি। ডাক্তারের সংখ্যা ৯০ জন। নার্সের সংখ্যা ১৭৩ জন। এস্বুলেন্সের সংখ্যা ৬ টি। বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র ৭২ টি ,  কোভিড ১৯ চিকিৎসায় প্রস্তুতকৃত বেড ৭২ টি , ডাক্তারের সংখ্যা ১০০ জন। নার্সের সংখ্যা ১৮০ জন।  ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ( পিপিই) বিতরণ করা হয়েছে ৪৪৮ টি। মজুদ রয়েছে ১৪০ টি।  ত্রাণ সহাতায় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *