গোলাকান্দাইলে গণধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার

গোলাকান্দাইল ফিচার

রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের মাহনা এলাকায় তিন সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বিল্লালকে গ্রেফতার করে ভূলতা ফাঁড়ির পুলিশ। গত শনিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের মাহনা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বিল্লাল হোসেন(৩১),উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের মাহনা এলাকার হাসু মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানান, ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার (১২ জুলাই) রাত ৮টার দিকে মাহনা এলাকার রহিমা গোপটার আব্দুল আলীর ইটভাটায়। ঐ নারীকে একা পেয়ে প্রথমে বিল্লাল ধর্ষণ করে পরে পালাক্রমে আমীর আলী। ধর্ষণের পর ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় মামলা না দিতে ভয়, এলাকায় মীমাংসার চেষ্টা করে। গণধর্ষণকারীরা বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য হুমকি দিচ্ছে বলে জানান নির্যাতিতার মা। শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত দেয়নি বখাটেরা। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা ও মীমাংসার জন্য ভয়ভীতি-হুমকিও দেয়। ঘটনার পর বাড়ির মালিক সোনা মিয়াকে বিষয়টি জানান নির্যাতিতা। পরে ঘটনার চার দিন পর বাড়ির মালিক সোনা মিয়া বিল্লাল ও আমীর আলীর কাছ থেকে টাকা খেয়ে, নির্যাতিতা গৃহবধূকে হুমকি দিয়ে, নির্যাতিতার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া টাকা ও একটি মোবাইল সেট ফিরিয়ে দেয়। তবে গণধর্ষণের বিচার না করে উল্টো নির্যাতিতা গৃহবধূকে মামলা না করার জন্য বাড়ির মালিক সোনা মিয়া হুমকি প্রদান করেন। কিন্তু ৬দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো বিচার পেলনা। পরে বাধ্য হয়ে শনিবার ১৮ জুলাই সকালে নির্যাতিতা গৃহবধূ নিজেই থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ভূলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে দ্রুত অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যার মধ্যেই গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী বিল্লালকে গ্রেফতার করেন, এসআই আমিনুল ইসলাম ও এসআই পরিমল। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, গত রোববার ১২ জুলাই রাত ৮টার দিকে মাহনা এলাকার রহিমা গোপটার আব্দুল আলীর ইটভাটায় একটি নারীকে একা পেয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। প্রথমে বিল্লাল ধর্ষণ করে পরে পালাক্রমে আমীর আলী। ধর্ষণের পর ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। গত শনিবার ১৮ জুলাই সকালে নির্যাতিতা গৃহবধূ নিজেই থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বিল্লালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামী আমীর আলীকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *