আমরা ফেলে দিতে পারিনা: পাপ্পা গাজী

কাঞ্চন ফিচার

গাজী গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা, বিসিবি ও যমুনা ব্যাংকের পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ কিছু না কিছু পায়। ১৯৭৫ সালের পরে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিলো না তখন আমাদের প্রতিবন্ধী ভাই -বোন , বৃদ্ধ নানা ,নানি, দাদা, দাদি, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা বোনদের ভাতার কথা কেউ চিন্তা করে নাই। দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছেন।

বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা বিধবা হতে পারেন , স্বামী ছেড়ে চলে যেতে পারে কিন্তু ভাই কখনো ছেড়ে যায় না। আমাদের আওয়ামী লীগ পরিবার আপনাদের ভাই। যদি কোনো সময় কষ্ট হয় আপনারা বলবেন আমরা চেষ্টা করব ভাই হিসেবে যতটুকু পারা যায় আমরা সহযোগিতা করব। আমরা আপনাদেরকে ফেলে দিতে পারিনা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আপনারদের নিয়ে অনেক চিন্তা করেছেন। অনেকেই আপনাদের বোঝা মনে করেছেন। আমরা আপনাদের বোঝা মনে করি না। আমাদের যারা মা বোনেরা আছেন বিশেষ করে স্বামী নিগৃহীতা বোনেরা আছেন আপনারা আমাদের পরিবার।

মঙ্গলবার ( ২২ সেপ্টেম্বর) রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার ভারত চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বয়স্ক , বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের মাঝে ভাতার বই বিতরণ অনুষ্ঠানে গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভাতার টাকা দেওয়ার জন্য কোনো দালাল নেই। কেউ যদি কাডের কথা বলে টাকা চায় আমাদের সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে জানাবেন। ভাতা বিতরণে দুর্নীতির সুযোগ নেই। আগামীতে মোবাইল বা ব্যাংকের মাধ্যমে ভাতার টাকা চলে যাবে।

তিনি বলেন, রূপগঞ্জবাসীরা কাছে আমরা ঋণী। তারা আমার বাবা-মাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। ঋণশোধ করার জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক কাজ করে যাচ্ছেন। করোনার আগে আমার ( পাপ্পার) বাবা সপ্তাহে তিনদিন রূপগঞ্জে থাকতো। এখন করোনার সময় সপ্তাহে ৪ দিন রূপগঞ্জে থাকে।

রূপগঞ্জবাসীর উদ্দেশে গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, আমরা আপনাদের দিতে আসি, নিতে না। আপনারা অনেকে নেতা দেখছেন যে নির্বাচনের সময় খুজে পাইবেন। নির্বাচনের পরে খুজে পাইবেন না। করোনার সময় আমার বাবা মা এলাকার লোকজনের সাথে দেখা করেছে। আজকে আমি এসেছি বাবার বোঝাটা হাল্কা করার জন্য। অথচ অনেক সন্তান আছে যারা পিতা , মাতা অবহেলা করে।

করোনা মোকাবেলায় সরকারের প্রশংসা করে তরুণ এই শিল্প উদ্যোক্তা বলেন, সঠিক সিদ্ধাতে জাতির মঙ্গল হয়। করোনাকালে যুক্তরাষ্ট্র , যুক্তরাজ্য , স্পেন, ইতালির যে দুরাবস্থা হয়েছিলো বাংলাদেশে তেমন হয়নি। বঙ্গবন্ধুর কন্যার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের অর্থনীতি স্বাভাবিক হচ্ছে । বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ যদি মাস্ক পরে এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে করোনা খুজে পাওয়া যাবে না।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *