নিজস্ব প্রতিবেদক: রূপগঞ্জের নোয়াপাড়া-চনপাড়া খেয়াঘাটে দীর্ঘ ৪৯ বছর পর ডিঙি নৌকার বদলে ট্রলারে (ইঞ্জিন চালিত নৌকা) যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। কমেছে ভয়-ভীতি ও শঙ্কা। সাশ্রয় হচ্ছে সময় ও অর্থ। তাতে খুশি শীতলক্ষ্যার দুই তীরের লাখো মানুষ।
শীতলক্ষ্যার পশ্চিমপারে অবস্থিত চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র। এখানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। আর নদীর পুর্বপারে গড়ে উঠছে শতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান। জীবিকার তাগিদে শীতলক্ষ্যার পশ্চিমপারের মানুষজন নোয়াপাড়া-চনপাড়া খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিনিয়তই নদী পারাপার হয়। বর্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক থেকে শুরু করে শিশু-বৃদ্ধসহ সর্বশ্রেণির মানুষজন আসা-যাওয়া করে। এতদিন ডিঙি নৌকায় নদী পারাপারের সময় বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে যাত্রীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কেউ ছুটছে কর্মস্থলে। কেউবা ছুটছে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে। আবার কেউবা ছুটছেন ব্যবসায়ীক কাজে। এছাড়া নদী পথে জাহাজ-কার্গো ও বাল্কহেডের ধাক্কায় ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রায়শই ঘটছে প্রাণহানী। আর এই সকল দুর্ঘটনা এড়াতে নোয়াপাড়া-চনপাড়া খেয়াঘাটে ১০টি ট্রলার দিয়েছে তারাবো পৌরসভা। নদী পারাপারে প্রতি জনে ৫ টাকার স্থলে ২ টাকা নেয়া হচ্ছে। কমেছে যাত্রীদের শঙ্কা, খরচ ও সময়। আর স্বস্তি প্রকাশ করেছে শীতলক্ষ্যার দুই তীরের লক্ষাধিক মানুষ।
চনপাড়া এলাকার চিকিৎসক ডাঃ শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডিঙি নৌকায় নদী পার হতে আগে সময় লাগতো ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। ভাড়া নেয়া হতো পাঁচ টাকা হারে। এখন ট্রলারে ৫/৬ মিনিটে পার হওয়া যায়। প্রতি জনে ভাড়া নেয়া হয় ২ টাকা।
শীতলক্ষ্যার তীরবর্তী শেখ রাসেল নগর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী নাজমা বেগম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ঘাটে ডিঙি নৌকায় মানুষ শীতলক্ষ্যা পারাপার হয়ে আসছিল। এখন এই ঘাটে ট্রলার দেয়ায় মানুষ স্বস্তিতে আসা-যাওয়া করছেন।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বলেন, ডিঙি নৌকার পরিবর্তে ট্রলার দেয়ায় স্বস্তিতে নদী পারাপার হচ্ছে এই এলাকার মানুষজন। ট্রলার দেয়ার দুই মাসেও এখানে কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।