নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম: রূপগঞ্জ-রামপুরা সড়কে বালু নদী সেতু এক বছরে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা ছিল। নির্মাণ ব্যয়ও ধরা হয়েছিল ৬ কোটি ১০ লাখ টাকা। পর্যাপ্ত বরাদ্দ না পাওয়ায় সেতু আর নির্মাণ হয়নি। সেতুর ৪টি পিলার দেখেই উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নসহ রাজধানী ঢাকার পূর্বাঞ্চলের লাখো মানুষের কেটে গেছে ১ যুগের বেশি সময় ( ১৭ বছর) । এ সেতু নির্মাণ হলে ঢাকার সঙ্গে রূপগঞ্জের সেতুবন্ধন তৈরি হতো। পাশাপাশি কাঁচপুর ও সুলতানা কামাল সেতুতে যান চলাচলের চাপও অনেকটা কমে যেতো। খুলে যেত নদীপাড়ের লাখো মানুষের ভাগ্যের চাকা। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রস্তাবিত রামপুরা-রূপগঞ্জ সড়কের বালু নদীতে তৃতীয় সেতুর প্রকল্প অনুমোদন হয় ২০০১ সালে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৬ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৩ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে । সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ১ বছরের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাহিদ এন্টারপ্রাইজ । কিন্তু ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরে বরাদ্দ মেলে মাত্র ৫০ লাখ টাকা। এর পর আর কোনো বরাদ্দ দেয়া হয়নি। ফলে ২টি স্প্যান নির্মাণের পর সেতুর কাজ থমকে যায়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৭৫ দশমিক ৫ মিটার ও প্রস্থ ১০ মিটার। স্প্যান রয়েছে ৪টি। ৪টি স্প্যানই নদীতে চলাচলরত বিভিন্ন জলবাহনের পথ আগলে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায় এই ব্রিজটির নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে থাকার পিছনে বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি গুলোর হাত থাকতে পারে। রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নটি পূর্বাচলের অতি পাশে হওয়া হাউজিং কোম্পানিগুলো নজরে এই ইউনিয়নটি। তারা যাতে কম দামে জমি ক্রয় করতে পারে সে জন্য হাউজিং কোম্পানি গুলো মোট অঙ্কের টাকা দিয়ে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে রেখে দিয়েছে এমনটা ধারণা করছে এলাকাবাসী।