নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম:
রূপগঞ্জে লকডাউন চললেও থেকে নেই মাদক কারবারিদের ব্যবসা। ফোন করলেই বাড়িতে কিংবা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছে দিচ্ছে মাদক। এ জন্য ডেলিভারী চার্জও আদায় করছেন তারা। উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামের মাদক কারবারিরা চালু করেছেন এই হোম ডেলিভারী সার্ভিস।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা জুড়ে গত ৮ এপ্রিল থেকে লকডাউন শুরু হলে গৃহবন্দি হয়ে পরে মানুষ। এ অবস্থায় মাদকের কারবারে কিছুটা স্থবিরতা আসলে ভোলাবো এলাকার কয়েকটি গ্রামের মাদক কারবারিরা শুরু করে বাসায় মাদক পৌছে দেয়া সেবা। এদের মধ্যে দড়িচারিতালুক এলাকার মিজানের ছেলে মাসুম মোল্লা, একই গ্রামের মিজান চৌকিদারের ছেলে কবির, চারিতালুক এলাকার গিয়াসউদ্দিনের ছেলে নাঈম, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শাহিন, কুড়িয়াইল এলাকার হালুর ছেলে আরিফ, একই এলাকার হানিফার ছেলে জোবায়ের, দড়িচারিতালুক এলাকার পারভেজ, হানিফার ছেলে আওলাদ, মিল্লাতের ছেলে ইউছুফ, বাসুন্দা এলাকার আজিজের ছেলে মোহাসিন এই পদ্ধতিতে দেদারছে তাদের কারবার চালাচ্ছেন। সূত্রমতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মহামারী করোনা কেন্দ্রীয় কর্মকান্ডে ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে তারা এলাকায় ভিন্ন পদ্ধতিতে এই কারবার শুরু করেছেন। হাতের নাগালে মাদক সেবন সহজলভ্য হওয়ায় মাদকসেবীরা লকডাউনেও সেবন থেকে বিরত থাকছেন না
ভোলাব গাবতলা এলাকার এক ইয়াবাসেবী নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানায়, একটি চম্পা বড়ি(ইয়াবার নাম) ১’শ টাকা হলেও নির্দিষ্ট জায়গায় পৌছে দেয়ার কারনে তারা বড়ি প্রতি আরো ২০ টাকা নেয়, এছাড়া জ৭ (ইয়াবার নাম) ৩’শ টাকা হলেও বর্তমানে তারা সাড়ে ৩’শ টাকায় বিক্রি করে।
এ ব্যাপারে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) সাইফুল ইসলাম বলেন, উল্লেখিত মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান আরো জোরদার করা হবে।