নিজস্ব প্রতিবেদক:
রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে ৪৯টি পোড়া মরদেহ বের করা হয়েছে । শুক্রবার ( ৯ জুলাই) বেলা সোয়া দুইটা পর্যন্ত লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ২ জনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া যায়। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫২। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। ১৯ ঘণ্টা পর কারখানার ভেতর থেকে এক এক করে মরদেহ হওয়ায় কারখানাটি মৃত্যুপরীতে পরিণত হয়েছে। লাশের গন্ধে ভারী হচ্ছে সেজান জুস কারখানা এলাকা। নিহতের স্বজনেরা কারখার সামনে অপেক্ষা করছে। তাদের কান্না থামছে না। শুক্রবার
স্থানীয় সংসদ সদস্য , বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিনি গভীর শোক এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ,আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার ( ৯ জুলাই) এক শোক বার্তায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক , নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। নিহত এবং আহতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্ঠ সবাইকে অনুরোধ জানান। এছাড়া তিনি আহতদের সু চিকিৎসার ব্যবস্থার নির্দেশ প্রদান করেন।
বৃহস্পতিবার ৮ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার পর রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ( সেজান জুস) ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।