মেয়র প্রার্থী তৈমূর কন্যা !

তারাবো পৌরসভা রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ

নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম: জনস্বার্থে কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন রূপগঞ্জের সন্তান সুপ্রিম কোর্টের তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার মার ই-য়াম খন্দকার । তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এড. তৈমূর আলম খন্দকারের মেয়ে। সম্প্রতি ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে হাইকোটে রিট করে তিনি আলোচনায় এসেছেন। তিতাস গ্যাসকে আপাতত ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রিট করার জন্য তাঁর বাবা তৈমূর আলম খন্দকার তাকে সহযোগিতা করেছেন বলে জানা গেছে । আর তৈমূর আলম খন্দকার তাঁর মেয়েকে সেই ভাবেই গড়ে তুলছেন। রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার রূপসী এলাকায় ব্যারিস্টার মার ই-য়াম খন্দকারের দাদার বাড়ি। নারায়ণগঞ্জ শহরে তাদের বাড়ি রয়েছে । তাঁর বাবা তৈমূর আলম খন্দকার ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ভোট বর্জন করেছিলো। আবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ – ১ ( রূপগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। বেশ কিছু জায়গায় তৈমূর আলম খন্দকার ব্যর্থ হয়েছেন। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার তিনি মেয়েকে গড়ে তুলছেন। সামনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এবং তারাব পৌরসভার নির্বাচন। এই দুই নির্বাচনে তৈমূর কন্যার জন্য দুটি সুযোগ রয়েছে। তিনি চাইলে দুই জায়গায় মেয়র প্রার্থী হতে পারবেন। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যেখানকার ভোটার সে সেখানেই প্রার্থী হতে পারেন। এর বাইরে নয়। তফসিল ঘোষণার আগে ভোটারের স্থান পরিবর্তন করা যায়।

আসন্ন তারাব পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হিসেবে ব্যারিস্টার মার ই-য়াম খন্দকার কে দেখতে চায় বিএনপির একটি অংশ। শনিবার ( ১২ সেপ্টেম্বর) কামাল হোসেন কুট্টি নামে বিএনপির একজন সমর্থক ফেসবুকে একটি পোস্টার স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে তিনি ব্যারিস্টার মার ই-য়াম খন্দকারকে তারাব পৌরসভার মেয়র হিসেবে দেখতে চান । পোস্টারে লেখা আছে রূপগঞ্জ থানা বিএনপি। এব্যাপারে এড. তৈমূর আলম খন্দকার বা ব্যারিস্টার মার ই-য়াম খন্দকারের সম্মতি আছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

গত তারাব পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তারাব পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন। বিএনপির বিদ্রোহী প্রাথী ছিলেন সাবেক মেয়র শফিকুল চৌধুরী। এবারও তারা দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে গুঞ্জন ওঠেছে। গতবার নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের চেষ্টায় আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এবার তাঁর সাথে দূরত্ব তৈরী হয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁর সাথে যোগ হচ্ছে তৈমূর কন্যার দলীয় মনোনয়ন চাওয়া। সবমিলিয়ে চাপেই আছে আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন। শেষ পর্যন্ত কে বিএনপির মনোনয়ন পায় সেটা সময় বলে দেবে।মার ই-য়াম খন্দকার বিএনপির প্রার্থী হলে রূপগঞ্জবাসী দুই নারীর ভোটের লড়াই দেখবে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *