পাগলি ধর্ষক দীপুর সমর্থক!

কাঞ্চন পৌরসভা ফিচার

নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম:

কাঞ্চনে যুবদল নেতা কোহিনূরের বিরুদ্ধে এক পাগলিকে ধর্ষণের অভিযোগ  উঠেছে। আর সেই কোহিনুর বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়ার সমর্থক । কোহিনুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু পলাতক অবস্থায় সে ঈদের শুভেচ্ছা পোস্টার বানিয়ে তার ফেসবুকে স্টাট্যাস দিয়েছে। পোস্টারে মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়াসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি সেক্রেটারীর ছবি রয়েছে।

কোহিনুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠার পরেও পুলিশের তদন্তে নেই কোনো অগ্রগতি। কোহিনুর কার শেল্টারে অধরা রয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আওয়ামী লীগ , পুলিশ , দীপু ভুঁইয়া, নাকি যুবদলের শেল্টারে রয়েছে এই প্রশ্ন এখন সবার মনে।

কেউ কেউ বলছে বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়ার শেল্টারে রয়েছে কোহিনুর। তার এতো ক্ষমতা যে পুলিশ তার একজন সমর্থককে খুঁজে বের করতে বা গ্রেফতার করতে পারছে না। পাগলিটা ছিলো কাঞ্চনে। গত ৬ মে বুধবার রাত আনুমানিক ৯/১০ টায় পূর্বাচল আমেরিকান সিটির বালুর মাঠে পাগলি কে জোরপূর্বক ধর্ষন করে যুবদল নেতা কশাই কহিনুর ও আজিজ। পাগলির চিৎকারে কয়েকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পরের দিনও পাগলি কাঞ্চনে ছিলো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে তারপর থেকে পাগলিকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। এরপর থেকে রূপগঞ্জে সমালোচনার ঝড় উঠেছে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
ধর্ষনের ঘটনাটি জানাজানি হলে হলে স্থানীয় মুরুব্বিরা মসজিদে শালিস বসায়। সেখানে উপস্থিত না হয়ে স্থানীয় মাতবর দের উল্টো হুমকি দেয় ধর্ষক কহিনুর। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হলে এবং পুলিশ তাদের ধরতে বাসায় রেইড দিলে তারা এলাকা ছেড়ে পালায়। তারপর ঐ ধর্ষিতা পাগলিকেও কেউ খুজে পাচ্ছেনা!

যা সবার মধ্যেই এখন একটি প্রশ্ন জাগছে পাগলিকে কি ধর্ষক চক্র আরও বড় কোন ক্ষতি করেনিতো? এই ভয় ও অজানা আতংক সবার মধ্যেই যারা কহিনুর কে চিনে, কারন তার দ্বারা সবই সম্ভব! এই ধর্ষন ইস্যুতে কাঞ্চনের যারাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচার দাবি করেছে তাদের প্রত্যেককেই কহিনুরের সন্ত্রাসী বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে থ্রেড করছে। দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে!  এদিকে আওয়ামীলীগসহ রূপগঞ্জবাসী কোহিনুরের বিচারের দাবিতে ফুসে উঠেছে। তার রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার পরিকল্পনা করছে। পাগলিকে ধর্ষণ ছাড়াও একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে যুবদল নেতা কোহিনুরের বিরুদ্ধে। কালাদি স্টান্ড এলাকার একটি মেয়েকে ধর্ষন করেছিল সে। সে দানিসের বৌ ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে বিয়ে করে নি। এরকম বহু খারাপ কাজ করার পরও সে বার বার পার পেয়ে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে তার অনেক ঘটনাই বের হয়ে আসছে।

এব্যাপারে  রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান  জানান ,কোনো লিখিত অভিযোগ পাই নাই। ধর্ষণের ঘটনা শুনেছি। তদন্ত চলছে। হাবিব নামে একজন সাক্ষীকে পুলিশ থানা নিয়ে এসেছিলো। সে যে ভাবে বলেছে তাতে পাগলিটাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। যুবদল নেতা কোহিনুর রূপগঞ্জে নেই। সে পালিয়েছে। পুলিশ তার মোবাইলের কল লিস্ট চেক করেছে। সে এখন অন্য এলাকায় অবস্থান করছে। পাগলিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। জানা গেছে কোহিনুর কাঞ্চন পৌর এলাকার মৃত তোফাজ্জলের ছেলে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *