কার শেল্টারে কোহিনুর অধরা

কাঞ্চন পৌরসভা রাজনীতি

নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম:

কাঞ্চনে যুবদল নেতা কোহিনূরের বিরুদ্ধে এক পাগলিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠার পরেও পুলিশের তদন্তে নেই কোনো অগ্রগতি। কোহিনুর কার শেল্টারে অধরা রয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আওয়ামী লীগ , পুলিশ নাকি যুবদলের শেল্টারে রয়েছে এই প্রশ্ন এখন সবার মনে। পাগলিটা থাকে কাঞ্চনে। গত ৬ মে বুধবার রাত আনুমানিক ৯/১০ টায় পূর্বাচল আমেরিকান সিটির বালুর মাঠে পাগলি কে জোরপূর্বক ধর্ষন করে যুবদল নেতা কশাই কহিনুর ও আজিজ। পাগলির চিৎকারে কয়েকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পরের দিনও পাগলি কাঞ্চনে ছিলো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে তারপর থেকে পাগলিকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। এরপর থেকে রূপগঞ্জে সমালোচনার ঝড় উঠেছে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
ধর্ষনের ঘটনাটি জানাজানি হলে হলে স্থানীয় মুরুব্বিরা মসজিদে শালিস বসায়। সেখানে উপস্থিত না হয়ে স্থানীয় মাতবর দের উল্টো হুমকি দেয় ধর্ষক কহিনুর। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হলে এবং পুলিশ তাদের ধরতে বাসায় রেইড দিলে তারা এলাকা ছেড়ে পালায়। তারপর ঐ ধর্ষিতা পাগলিকেও কেউ খুজে পাচ্ছেনা!

যা সবার মধ্যেই এখন একটি প্রশ্ন জাগছে পাগলিকে কি ধর্ষক চক্র আরও বড় কোন ক্ষতি করেনিতো? এই ভয় ও অজানা আতংক সবার মধ্যেই যারা কহিনুর কে চিনে, কারন তার দ্বারা সবই সম্ভব! এই ধর্ষন ইস্যুতে কাঞ্চনের যারাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচার দাবি করেছে তাদের প্রত্যেককেই কহিনুরের সন্ত্রাসী বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে থ্রেড করছে। দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে! মানুষ এখন প্রতিবাদ করতেও ভয় পাচ্ছে! অবশ্য ভয় কেন পাবেনা , স্থানীয় আওয়ামী লীগ নাকি কহিনুরের সাথে আতাত করে চলে। আবার কেউ কেউ বলে ভয় পায়!! ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর রূপগঞ্জের মধ্যে কাঞ্চনে বহু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে আগুন দেয়া হয়, অনেককে কুপিয়ে আহত করা হয় এই কহিনুরের নেতৃত্বে। যুবদল বা বিএনপির পক্ষ থেকেও কোনো তদন্ত করা হচ্ছে না তার বিরুদ্ধে। একটি সুত্রের মাধ্যমে জানা গেছে কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের ২/৩ জন নেতার সাথে কোহিনুরের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় ওই নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন যা গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। এদিকে আওয়ামীলীগের একটি অংশসহ রূপগঞ্জবাসী কোহিনুরের বিচারের দাবিতে ফুসে উঠেছে। তার রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার পরিকল্পনা করছে। পাগলিকে ধর্ষণ ছাড়াও একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে যুবদল নেতা কোহিনুরের বিরুদ্ধে। কালাদি স্টান্ড এলাকার একটি মেয়েকে ধর্ষন করেছিল সে। সে দানিসের বৌ ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে বিয়ে করে নি। এরকম বহু খারাপ কাজ করার পরও সে বার বার পার পেয়ে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে তার অনেক ঘটনাই বের হয়ে আসছে। প্রশাসন তাকে খুজে বের করবে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে এটা রূপগঞ্জবাসীর বিশ্বাস।
এব্যাপারে জানতে গতকাল রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসানকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেন নি। সম্প্রতি তিনি জানান ,কোনো লিখিত অভিযোগ পাই নাই। ধর্ষণের ঘটনা শুনেছি। তদন্ত চলছে। হাবিব নামে একজন সাক্ষীকে পুলিশ থানা নিয়ে এসেছিলো। সে যে ভাবে বলেছে তাতে পাগলিটাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। যুবদল নেতা কোহিনুর রূপগঞ্জে নেই। সে পালিয়েছে। পুলিশ তার মোবাইলের কল লিস্ট চেক করেছে। সে এখন অন্য এলাকায় অবস্থান করছে। পাগলিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে কোহিনুর কাঞ্চন পৌর এলাকার মৃত তোফাজ্জলের ছেলে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *