নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম:
রূপগঞ্জ উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এ নির্মিত স্বপ্নের ঘরে বসবাস করছেন অসহায়, ভূমিহীন, দরিদ্র মানুষ। ৩০৩টি পরিবারের মধ্যে এ ঘর বরাদ্দ দেয়ার কথা। এদের মধ্যে ১৫০টি ঘরে এখন তারা বসবাস করছেন। বাকি ১৫৩টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যেই তা সুবিধাভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এ সকল ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বিরাবো আশ্রয়ণ প্রকল্পের অর্থায়নে নির্মিত ঘরে বসবাস করেন বৃদ্ধা রুনা বেগম। বিধবা। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। তারা মায়ের খোঁজ খবর রাখেন না। রুনা বেগমের ঘর বাড়ি ছিলনা। ভিক্ষা করে চলতেন। অন্যের রান্নাঘরে কিংবা বারান্দায় রাত কাটাতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারে আশ্রায়ণ প্রকল্পে সেই স্বপ্ন পূরণ হলো রুনা বেগমের। আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওয়তায় রুনা বেগম পেয়েছেন নিজের নামে দুই শতক জমি ও একটি টিনসেডের দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি ঘর। সাথে রয়েছে একটি গোসলখানা ও টয়লেট। বৈদ্যুতিক সংযোগ ও পানির ব্যবস্থাতো আছেই।
শুধু রুনা বেগম নয় ইউসূফ (৬৫), সজীমুন (৯০), পঙ্গু শফিকুল আলম (৭০), সাহেদা (৬৩), কবিতা (৫৩), নাজমা (৬১), হযরত আলী (৬০)সহ ১৫০ টি পরিবার ঘর পেয়ে তাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ১৫৩ টি পরিবারের স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষায় রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ নুসরাত জাহান বলেন, ২ শতক জমি নিয়ে ১ লাখ ৭১হাজার টাকা ব্যয়ে টিনসেডের দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘর নির্মাণ করা হয়। মুড়াপাড়া দড়িকান্দি এলাকা ২০ টি ও কাঞ্চনের বিরাবো এলাকায় ১৩১ টি ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া বিরাবো এলাকায় আরো ১’শ টি ও আধুরিয়া এলাকায় ৪৫ টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলছে। বরাদ্দকৃত অর্থায়নে ভিটি বালু, বৈদ্যুতিক সংযোগ, পয়ঃ নিষ্কাশন, পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবস্থা করাটা খুব কঠিন হয়ে পড়ছিল। তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার জননী। তার মন সাধারণ মানুষের জন্য সব সময় কাঁদে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রায়ন প্রকল্পের সারাদেশে যত মানুষকে ঘর দিয়েছেন তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। গৃহহীনরা এখন সেই স্বপ্নের ঘরে বসবাস করছেন।