রূপগঞ্জে সেগুন কাঠের ফার্ণিচারে রেইনট্রি

দুর্ভোগ


নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম: রূপগঞ্জে সেগুন কাঠের নামে বিক্রি হচ্ছে নিম্নমানের কাঠের হরেক রকম ফার্ণিচার। এসব আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুন,গর্জন,মেহগনি,গামার,ওক,পাইন,রেইনট্রি,গজারি,শিলকড়ই ইত্যাদি কাঠ। কিন্তু সর্বাধিক চাহিদা রয়েছে সেগুন কাঠে তৈরি ফার্ণিচারের। তাই মহার্ঘ সেগুনের দামে নিম্নমানের কম দামি কাঠের ফার্ণিচার ক্রেতাদের গছিয়ে দিচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু ফার্ণিচার ব্যবসায়ী। কাঠ চিনতে পারা সাধারণ ক্রেতার পক্ষে কঠিন কাজ। এই সুযোগই নিচ্ছে ধূর্ত দোকানদাররা। উপজেলার তারাব,বরাব,রূপসী,বরপা,গোলাকান্দাইল,ভূলতা,মুড়াপাড়া,চঁনপাড়া,কায়েদপাড়া,ইছাপুরা,ভক্তবাড়ী,দাউদপুর,আতলাপুর,কাঞ্চনসহ আরও অনেক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সেগুন কাঠের কথা বলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ক্রেতাদের রেইনট্রি কাঠে তৈরি ১৫ হাজার টাকার খাট সেগুনের নামে গছিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৫০ হাজার টাকায়। গোলাকান্দাইল হাজী শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়,সেখানে বট,আকাশি ও পাকুড়গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি ফার্ণিচার যশোরের সেগুন বলে বিক্রি হচ্ছে। এসব কাঠ বার্মাটিক সেগুন ও চট্টগ্রামের সেগুনের চেয়ে কয়েক গুণ নিম্নমানের । ভালো কাঠের ড্রেসিং টেবিল আছে কি না জানতে চাইলে বিক্রেতা বলেন, ‘আছে তো, সেগুন কাঠেরটাই আছে। দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১৬হাজার টাকা। পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন, ‘ভাই,এইটা সেগুন না, তয় সেগুনের চাইতে বেশিদিন টিকবে। আসলে সেগুন কাঠের অনেক দাম। এইখানে ৪০-৫০ হাজার টাকা দিয়ে কে কিনবে? তাই অর্ধেক দামে সেগুন বলে রেইনট্রিসহ অন্যান্য কাঠ দিয়ে বানিয়ে রাখি। কাস্টমারও খুশি থাকে আর আমাদেরও কিছু লাভ হয়। জানা যায়, বাজারে বার্মাটিক সেগুন প্রতি সিএফটি (ঘনফুট) সাত থেকে আট হাজার টাকা, চট্টগ্রামের সেগুন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা আর মধুপুর ও যশোরের সেগুন দেড় থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বার্মাটিক বা চট্টগ্রামের সেগুন বলে কম দামি সেগুন দিচ্ছে, কেউ আবার সরাসরি অন্য জাতের নিম্নমানের কাঠও দিচ্ছে। নিম্নমানের কাঠ যেভাবে হয়ে যায় ‘সেগুন’ গোলাকান্দাইল হাজী শপিং কমপ্লেক্সের নিচ তলায় এক দোকানে গিয়ে দেখা যায়, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে কাঠ ঘষামাজা চলছে। নাম প্রকামে অনিচ্ছুক এক মিস্ত্রি বলেন, ‘গর্ত খুঁড়ে তুঁতে (কপার সালফেট) আর সোডিয়াম ডাইক্রোমেট কেমিক্যাল পানিতে মিশিয়ে নিম্নমানের কম দামি কাঠে দেওয়া হয়। দু-তিন দিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে আগুনে দিয়ে শুকালেই সেগুনের আকার ধারণ করে। কিন্তু এসব কাঠের ফার্ণিচার বেশি দিন টেকে না।’ গোলাকান্দাইল হাজী শপিং কমপ্লেক্সের ফার্ণিচার মার্কেটে ক্রেতা মনির হোসেন বলেন, ‘গত বছর ডিসেম্বর মাসে নতুন বাজারের এক দোকান থেকে খাট কিনেছিলাম। সেগুন কাঠের বলে ৩০ হাজার টাকায় কিনলাম। সাত-আট মাস না যেতেই এখন সব বাঁকা হয়ে যাচ্ছে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *