নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রথমবারের মতো কায়েতপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে ক্ষমতায় বসেছেন আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ¦ মো: জাহেদ আলী। কিন্ত তিনি কিভাবে জয় পেলেন এ নিয়ে অনেক বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের পর্যবেক্ষণ বলছে, শুধু মন্ত্রীপুত্র গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পার বিচক্ষণতায় জাহেদ আলী জয় পেয়েছেন। নৌকাকে বিজয়ী করার একজন ‘নেপথ্য নায়ক’ তিনি। দলীয় মনোনয়ন যুদ্ধে ভূমিদস্যুকে পরাজিত করেছেন তিনি। এরপর নৌকাকে জেতানোর জন্য তিনি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যান। তিনি জাহেদ আলীকে নিত্যনতুন পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নেন। নানা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।
নির্বাচনের আগে গাজী গোলাম মর্তুজা বারবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছিলেন, নৌকা জিতবে । নৌকা বিদ্রোহীরা হারবে। শতভাগ সুষ্ঠু ভোটের ফল গণনায় তার সেই কথাই বাস্তবে প্রমাণিত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, অক্ষরে অক্ষরে মিলেছে রূপগঞ্জে আওয়ামী রাজনীতির ভবিষ্যত কান্ডারি গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পার কথা। যাদেরকে তিনি সমর্থন দিয়েছিলেন তারা অধিকাংশই ভোটে পাস করেছে।
তিনি কায়েতপাড়া বাঁচানোর লড়াইয়ে নেপথ্য নায়ক । মাঠে নেমে খেললেন তো বটেই বল এগিয়ে করালেন গোলও। আর জয়ের কৃতিত্বের সিংহভাগই গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পাকে দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ থেকে আওয়ামীলীগ নেতারা স্বয়ং। একুশের ভোটময়দানে প্রার্থী না হয়েও রফিক, টুকু, মিজানদের আক্রমণের নিশানায় ছিলেন মন্ত্রীপুত্র গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। সারা ভোটপর্বে বিরোধীদের মুখে উচ্চারিত হয়েছে পাপ্পা গাজীর নাম।
গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা মাঠে নামার পর একের পর এক কায়েতপাড়ায় নৌকা ঝড়। সেই ঝড়ে মুখ থুবড়ে পড়ল নৌকা বিরোধী রফিক, মিজান ,টুকু, ইয়ার, পাঠানদের। একুশের ল্যান্ডস্লাইড জয়ে অকথিতভাবে প্রমাণিত রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর পর গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা নৌকার কান্ডারি।
ভোট পর্বের শুরু থেকেই দলীয় কিছু নেতার আক্রমণের নিশানায় বিসিবির এই পরিচালক। তবু শত আক্রমণেও অবিচলিত থাকেন তিনি ।
একের পর এক কিছু নেতা নৌকা ছেড়ে ভূমিদস্যুদের আনারসে যখন পা বাড়াতে চেয়েছেন। তখন রক্তক্ষরণ রুখতে উদ্যোগী হয়েছেন আওয়ামী লীগ তথা বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর অন্যতম ভরসাযোগ্য গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। বলতে গেলে রীতিমতো মাঠে নেমে খেলেছেন, বল বাড়িয়েছেন, গোল করিয়েছেন দলকে দিয়ে। এর আগের ইউপি নির্বাচনে ভোট যুদ্ধে, একমাত্র গোলাম দস্তগীর গাজীর ম্যাজিক ছিলো। তাঁর ছায়াতলে থেকেই গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা আজ গেম চেঞ্জার। এককথায় বলতে কায়েতপাড়ায় এই জয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি কৃতিত্বের দাবিদার হিসেবে উঠে আসছে গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পার নাম। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দল তাকে এভাবে পাবে বলে প্রত্যাশা করছে নেতাদের।
এদিকে সোমবার ১৫ নভেম্বর রাজধানীতে গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো: জাহেদ আলী, ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বজলুর রহমান, ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোয়াজ্জেম হোসেন, সংরক্ষিত মেম্বার সেলিনা আক্তার রিতা। এসময় গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা তাদেরকে জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য আহবান জানান।
উল্লেখ্য গত ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক পদে হ্যাট্রিক করেছেন গাজী গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। তিনি বিসিবির পরিচালক পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন।