নিউজ রুপগঞ্জ ডটকম:
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও মন্ত্রীপুত্র গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেছেন, গত ৫ বছরে কায়েতপাড়ায় কি হয়েছে সেটা নতুন করে বলতে হবে না। এ এলাকার মানুষ সব জানে। একজন ফেরাউন সিলেকশনে চেয়ারম্যান হওয়ার পরে তার কাজ ছিলো দখল করা । মানুষকে সরাসরি কয় মামলা কর। এখন নির্বাচন আইছে কয় হামলা কর। আমরা গুন্ডার রাজনীতি করি না। উনি কথায় বলবে বঙ্গবন্ধু , আদর্শে থাকবে খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার ( ২৮ অক্টোবর) বিকালে কায়েতপাড়া ৪ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রূপগঞ্জে আওয়ামী রাজনীতির ভবিষ্যত কান্ডারি গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, যাদের নৌকা নেই, তাদের কাছে কিছুই নেই। প্রশাসন তো পরের কথা। কায়েতপাড়ায় গুন্ডাগিরি করবেন না। বেরাইতে গিয়ে করেন। নির্বাচনের আগে বলেছে নমিনেশন তাদের পকেটে থাকে। তাদের সেই পকেট গেলো কই? এখন দেখি স্বতন্ত্র হয়। দুই ভাই মিলে চেষ্টা করেও পায় নাই। আমরা চনপাড়া, কায়েতপাড়া নিজের টাকা খরচ করে গ্যাসের লাইন দিয়েছি। প্রশ্ন হলো সেই লাইন কাটলো কে ? সেটা জানতে হবে কায়েতপাড়াবাসীকে। তারা চায় আপনারা এ এলাকায় যাতে না থাকেন।
তিনি বলেন, এই নির্বাচন শুধু আপনাদের নির্বাচন নয়, এটা আমাদের বাঁচা মরার নির্বাচন। এটা নৌকার অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন। বড় ভাই গেছে এখন মেজো ভাই। এরপর ছোট ভাই। আমি কারাও গীবত গাইতে আসি নাই। নৌকা ছাড়া আর কোনো নিরাপদ মার্কা নেই। এলাকায় সবাই একটু সাবধান থাকবেন। ওরা টাকার বস্তা নিয়ে নামছে , ভোট কেনার চেষ্টা করবে । নিজের বিবেককে কেউ বিক্রি করে দেবেন না। ভোটের পরে ওরা আপনাকে চিনবে না। তখন আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করবে। সকলে মিলে ওই দখলবাজ, দুর্নীবাজদের কালো টাকাকে বর্জন করবেন।
কায়েতপাড়াবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, এবার নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আপনাদের ভোটে নৌকা মার্কা বিজয়ী করবেন। আর কোনোদিন আপনারা ওই রাজাকারদের দলে আসতে দেবেন না।
তিনি বলেন, ৪ নং ওয়ার্ডে অনেক কিছু হয়েছে। এই ওয়ার্ডে আমার একজন ভাই ছিলো নাম তার বাদল ভাই। উনাকে অনেক ভালোবাসি। বাদল ভাই যখন ভোটটা চায় উনাকে আপনারা প্রশ্ন করবেন রাস্তাটা বন্ধ করে আমরা যখন মিটিং ,মিছিল করেছিলাম , বাদল ভাইকে তখন তুলে নিয়ে গিয়েছিলো কে? এখন আমি আমার ভাইকে আহবান জানাই দয়া করে বড়ভাই একটা কথা মনে রাইখেন আপনার সাথে তারা নভেম্বরের ১১ তারিখ পর্যন্ত সম্পর্ক রাখবে । এরপরে আপনাকে তারা চিনবে না। আপনে আমাদের সমাজের বড় ভাই। আপনার হাত আপনার বাবা সেদিন আমার হাতে তুলে দিয়েছিলো, আন্ডার হাতে না। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুন। আপনারা জানেন আমার বাবা তিনবারের এমপি এবং বর্তমানে মন্ত্রী , আমি রূপগঞ্জে এসে একটা টাকাও দুর্নীতি করি নাই। কারাও সাথে খারাপ আচরণ করি নাই।
পাপ্পা গাজী বলেন, কামাল ভাইয়ের নিমন্ত্রণে এই ওয়ার্ডে তার বাসায় খেতে এসেছি। আমি কামাল ভাইয়ের কাছে একটা নিবেদন করেছি। এইবার আমরা মেম্বার নির্বাচন নিয়ে কানা ঘষা না করে এবার সবাই মিলে চেয়ারম্যান নির্বাচন করে কায়েতপাড়াকে ফেরাউন মুক্ত করি। কামাল ভাই আমার কথা রেখেছেন।
কামাল ভাইকে সমাজের লোকজন অনেক ভালোবাসেন। উনি আগামীতে মেম্বার হবেন। এবার আমাদের ফারুক আছেন সে নির্বাচন করবে। আগামীতে ফারুক মেম্বার নির্বাচন করবে না। ৪ নং ওয়ার্ডে সবাই নৌকা এবং ফুটবল মার্কায় ভোট দেবেন। এসময় কামাল, ফারুক হোসেন কে হাত উঠে সমর্থন জানান।
মন্ত্রীপুত্র বলেন , একটা কথা সবাই মনে রাখবেন গোলাম দস্তগীর গাজী প্রথম যখন রূপগঞ্জে এসেছিলো তখন দুর্গের মতো কায়েতপাড়াকে ধরে রেখেছিলো জাহেদ আলী সাহেব। প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন যে পাবে কায়েতপাড়ার সমর্থন সেই পাবে। উনি ৫ বছরের চেয়ারম্যান । উনার চশমার উন্নতি হয়েছে, উনার গাড়ির উন্নতি হয়েছে, উনার কবুল বলার উন্নতি হয়েছে, কিন্তু এলাকাবাসীর কোনো উন্নতি হয় নাই। ফারুককে কোনো ফান্ড দেয় নাই। যা ফান্ড নিয়েছে গোলাম দস্তগীর গাজীর ঐচ্ছিক ফান্ড নিয়ে সে এলাকার উন্নয়ন করেছে।
তিনি বলেন, ব্রিজ করেছি , উনিরা ব্রিজের পাশের জায়গা দখল করে রেখেছে। এদের নজর হচ্ছে বদ নজর। আজকে আমরা এই এলাকার মানুষকে দখলবাজদের হাত থেকে মুক্ত করতে এসেছি। আপনাদের মাধ্যমেই এই এলাকায় মঙ্গল হবে। বসে থাকার সময় নেই। সবাই নৌকার জন্য মাঠে নামুন ,কাজ করুন। নৌকা উন্নয়ন এবং স্বাধীনতার প্রতীক। এ প্রতীককে আমরা হারতে দেবো না। জাহেদ আলী চেয়ারম্যান হলে এলাকার মা বোনেরা গ্যাসের চুলায় রান্না করে খাওয়াতে পারবে।
৪ নং ওয়ার্ডবাসীর উদ্দেশে মন্ত্রীপুত্র বলেন, নৌকাকে আপনারা এমন ব্যাবধানে জয়যুক্ত করবেন যাতে উনি শুনার সাথে সাথে তার বাড়ির পাশে এমআরকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়। আমাদের দলীয় নেতাকর্মী যারা আছেন তারা সবাই আমাদের ইশতেহার টা নিয়ে জনগণের কাছে যাবেন। তারা আমাদের বার্তা দেখে নিশ্চিত নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।
এসময় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ¦ জাহেদ আলী, মোয়াজ্জেম মেম্বার, মেম্বার প্রার্থী মো: ওমর ফারুক ভুঁইয়া, মহিউদ্দিন, কামাল হোসেনসহআওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ,যুব মহিলা লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।