হেকমত হত্যায় ভ্যান চালকের জবানবন্দি

কাঞ্চন পৌরসভা ফিচার

নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম: রূপগঞ্জে নিহত ব্যবসায়ী হেকমত আলীর (৪০) ভ্যান চালক শান্ত মিয়া আদালতে মৌখিক জবানবন্দি দিয়েছে। ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওছার আলমের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
তিনি বলেন, গত ৪ এপ্রিল সবুজ আমাকে ফোন করে বলে আমার বাড়ি হতে গ্রিজ ভর্তি একটি ড্রাম গাউছিয়া আমার দোকানে নেব। তুমি যদি ফ্রি থাকো এখন আসো। আর যদি না থাকো কাল সকালে আসবে। আমি তখন বলি ঠিক আছে সকালে আসব। ৫ জুন সকালে সবুজ আবার ফোন করে। আমি তখন বলি রানিংয়ে আছি। সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে সবুজের বাড়ি কেরাবতে পৌছালে ড্রামের সামনে রফিকুল ইসলাম সবুজ, রফিকুল ইসলাম সবুজের ভাই মাহাফুজুর রহমান, বাবা ইয়াবুব মোল্লাকে দেখতে পাই। আমাকে নছিমন ঘুরাতে বলে। গাড়ি চালু করলে সবুজ গাড়িতে চড়ে বসে। কুশাব লিচু ফ্যাক্টরির সামনে গাড়ি থামাতে বলে। আমি বলি এখানে কে? তখন রফিকুল বলে গ্রিজ ভালো না ফেরত দেব। তুমি চলে যাও গা। তখন আমাকে ২শ টাকা ভারা দেয়। আমি চলে আসি। পরে শুনতে পাই কুশাব লিচু ফ্যাক্টরির সামনে পুকুর থেকে ড্রাম ভর্তি একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ চালকের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতে পেরে তদন্ত সহজ হয়েছে।
পিবিআই পুলিশ বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের পাশে উপজেলার কুশাবো এলাকার একটি মাছের খামারে ইট,বালি, সিমেন্টের প্রলেপ দেয়া পাথর অবস্থায় বন্ধ ড্রাম থেকে হেকমত আলীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত হেকমত আলী উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কালাদি এলাকার মৃত কদম আলীর ছেলে। গত ১৪ এপ্রিল হেকমত আলীর স্ত্রী রোকসানা বেগম বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ ও গুমের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি তদন্ত করার জন্য আমাদের দেয়া হয়। পিবিআই পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও আসামী রফিকুল ইসলাম সবুজকে নিবিরভাবে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে আসামী রফিকুল ইসলাম সবুজ হত্যাকান্ডের ঘটনা শিকার করেছে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *