নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম:
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী এবং মৃত্যুর সংখ্যা নারায়ণগঞ্জে প্রতিদিন বাড়ছে। শনিবার ২৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জন করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন দুইজন। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬২৫ জন আর মৃত্যুবরণ করেছে ৩৯ জন । আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন মাত্র ২৫ জন। গতকাল নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রাপ্ত ফলাফলে ৪১ জনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলায় মোট ১ হাজার ৮৬৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শুক্রবার ২৪ এপ্রিল গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়, যার মধ্যে ৪২ জনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে।
২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জন করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল। ওই ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৫৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৪৩ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত করা হয়। প্রত্যেকটা উপজেলা করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শহরে ৪২২ জন শনাক্ত হয়েছে। সদরে ১৩৩ জন, বন্দরে ৩৮ জন, সোনারগাঁয়ে ১১ জন, আড়াইহাজারে ১২ জন, রূপগঞ্জে ৯ জন শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যুবরণ করেছে দুইজন। নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে এখন পর্যন্ত রূপগঞ্জ উপজেলায় আক্রান্ত কম।
নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসন , জনপ্রতিনিধি কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু জনগণ প্রশাসনের নির্দেশনা মানছে না। যার ফলে নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। মৃত্যুব্যক্তির দাফনে এগিয়ে আসছে না তার স্বজনরা। নারায়ণগঞ্জে করোনায় মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির দাফন করছে নাসিক ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও তার টিম। ইতোমধ্যে দেশে বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন কাউন্সিলর খোরশেদ।
এদিকে করোনার প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জ। থেমে গেছে অর্থনীতির চাকা। বাড়ছে খাদ্য সংকট। কর্মহীন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। খাদ্যের অভাবে মানুষ নারায়ণগঞ্জে ছেড়ে বিভিন্ন কৌশলে পালাচ্ছে। খাদ্য সংকট দূর করতে সরকার দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন এবং সমাজের বিত্তবানরা দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। বাড়ি বাড়ি পৌছে দিচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ডাক্তার , স্বাস্থ্যকর্মী, ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা আক্রান্ত হচ্ছে। তারপরও তারা থেমে নেই। আগামী ঈদে করোনার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।