রূপগঞ্জে আসছে সরকারী শিশু খাদ্য

ফিচার রূপগঞ্জ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

গত ২২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সুসমন্বয়ের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  রেক্টর (সচিব), মোঃ রকিব হোসেন  এর সাথে জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জসহ জেলা করোনা প্রতিরোধ ও নির্মুল কমিটি ও মানবিক সহায়তা কমিটি ও জেলা কোর কমিটির সদস্যদের ভিডিও কনফারেন্সের (জুম) মাধ্যমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, জন প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই অংশ গ্রহণ করেন। সভায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত নারায়ণগঞ্জ জেলার বর্তমান পরিস্থিতি, পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সকল দপ্তরের গৃহীত কার্যক্রম, ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং কার্যক্রমসহ সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা করা হয়। সভায় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে চ্যালেঞ্জসমুহ তুলে ধরে তা দূরীকরণে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সভায় জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রকিব হোসেন  সরকারি নির্দেশনার আলোকে সকল কার্যক্রম পরিচালনা এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া তিনি সকল কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য এ ধরনের সভা নিয়মিত অনুষ্ঠানের নির্দেশনা প্রদান করেন।

আইইডিসিআর কর্তৃক নারায়ণগঞ্জ জেলাকে করোনা সংক্রমণ প্রবন ও ঝুকিপূর্ন এলাকা বিবেচিত হওয়ায় আইইডিসিআর প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া এ কার্যালয়ে স্থাপিত জেলা মনিটরিং সেল ও কন্ট্রোলরুম ২৪ ঘন্টা চালু রাখা আছে। উক্ত কন্ট্রোলরুমে প্রাপ্ত অভিযোগ ও পরামর্শের বিষয়ে তাৎক্ষনিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলায় করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯ )  আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫৮ জন, সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ৪২ জন,আইসোলেশনে রয়েছেন ১৬ জন, হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬৮৫ জন, ,কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়প্রাপ্ত ৬১৬ জন, ১ মার্চ থেকে অদ্যাবধি বিদেশ ফেরত ৬০৮৬ জন,বিদেশ ফেরতদেও মধ্যে ঠিকানা ও অবস্থান চিহ্নিত ১২৮২ জন।

সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র ০৩ টি, কোভিড-১৯ এর জন্য প্রস্তুতকৃত বেড ৩০ টি, ডাক্তারের সংখ্যা ৯০ জন, নার্সের সংখ্যা ১৭৩ জন, এম্বুল্যান্সের সংখ্যা ০৬ টি, বেসরকারী চিকিৎসা কেন্দ্র ৭২ টি, কোভিড-১৯ এর জন্য প্রস্তুতকৃত বেড ৭২ টি, ডাক্তারের সংখ্যা ১০০ জন, নার্সের সংখ্যা ১৮০ জন, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রি (পিপিই) এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১,৫৫০ টি, অদ্য মজুদ রয়েছে ২৫০৫ টি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ সহায়তার অংশ হিসেবে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। উপজেলাসমূহে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ তাদের স্ব-স্ব এলাকায় সরকারিভাবে প্রাপ্ত এবং

স্থানীয় উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত এ পর্যন্ত মোট ৭৭,০০,০০০/- (সাতাত্তর লক্ষ) টাকা ও ১৮০০ মেট্রিক টন চাল ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনসহ উপজেলা পর্যায়ে বিতরণের জন্য উপ বরাদ্দ প্রেরণ করা হয়েছে এবং প্রায় ১,৮০,০০০ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্যের জন্য এ জেলায় ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ) টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে যা সিটি কর্পোরেশন এলাকা, রূপগঞ্জ উপজেলাসহ সকল উপজেলায় বরাদ্দ প্রদান করার কাজ চলমান। বেসরকারী উদ্যোগে প্রাপ্ত মানবিক সহায়তার মধ্যে ৪৮০০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা এবং ৪১,০০,০০০/- (এক চল্লিশ লক্ষ) টাকা চেকের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা পাওয়া গেছে । যার মধ্যে ৪৫০৯ প্যাকেট খাবার ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। কোন উপকার ভোগী যেন বাদ না পড়ে এবং দ্বৈততা পরিহারের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার মানবিক কাজে উদ্যোগী বিত্তশালী ব্যক্তি/ সংগঠন/ এনজিও কোন খাদ্য সহায়তা প্রদান করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ২০ নং নির্দেশনা অনুযায়ী আবশ্যিকভাবে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে নেয়ার জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হলো।

ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সবধরণের জনসমাগম, জটলা পরিহার করার জন্য এবং নিরাপত্তার প্রয়োজনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

সোমবার ২৭ এপ্রিল  নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা  তাহেরা ববি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *