রূপগঞ্জের দুর্গা মন্দিরে হামলা , ফাঁকা গুলিবর্ষণ

ইউনিয়ন গোলাকান্দাইল শীর্ষ সংবাদ

নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম: রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সাওঘাট মধ্য মণিপাড়া দুর্গামন্দিরে গতকাল ২৬ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা দুর্গামন্দিরে রক্ষিত কালীমন্দির ভাংচুর করে। ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
এসময় বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীদের হামলায় নারীসহ নয়জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে অসত কুমার দাস (৩২), রবিন দাস (১৪), সজিব চন্দ্র দাস (২৬), জয়মালা (৭০), শেফালী দাস (৬০), রিনা দাসকে (৪০) স্থানীয় ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাওঘাট গ্রামের বাসিন্দা ভুমিদস্যু জহিরুল, নজরুল, দ্বীন ইসলামের নেতৃত্বে বহিরাগত ৩৫/৪০ সদস্যের একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মন্দিরে হামলা চালায়। হামলাকারীরা মন্দিরে পূজা অর্চনাকারীদের লাঞ্ছিত করে। মহিলাদের টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায়। মহিলাদের পরণে থাকা স্বর্ণালংকার লুটপাট করে। একপর্যায়ে তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
সাওঘাট মধ্য মণিপাড়া দুর্গামন্দির কমিটির সভাপতি বিধূ ভ’ষণ চন্দ্র দাস বলেন, সাওঘাট মৌজার সিএস ২১১, এস এ ২২৬ ও আর এস ৬০ নং দাগের ৯ শতাংশ জমি নিয়ে মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। মন্দিরে সন্ধ্যায় পূজা অর্চনা করার সময় সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। এছাড়া ভ’মিদস্যুরা জাল জলিল সৃজন করে দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরের জমি দখলে নেওয়ার পায়তারা করে আসছে। তারই জের ধরে জহিরুল, নজরুল, দ্বীন ইসলামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা মন্দিরে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। দুর্গামন্দিরে রক্ষিত কালী মন্দির ভাংচুর করে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার মাহিন ফরাজী ও
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় মন্দির এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ের করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *