দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের তফসিল চূড়ান্ত

ইউনিয়ন দাউদপুর ফিচার শীর্ষ সংবাদ

নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম: রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত হওয়ার পর করোনা ভাইরাসের কারণে আটকে আছে নির্বাচন । শনিবার ( ২২ আগস্ট) বিকাল উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে। উপজেলা নির্বাচন অফিসে সুত্রে আরো জানা গেছে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে । বর্তমান চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ কোনো প্রশাসক নিয়োগ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান নিউজ রূপগঞ্জ ডটকমকে জানান, এটা নির্বাচন কমিশনার বলতে পারবে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

এদিকে হাটে- ঘাটে,অফিসে চায়ের দোকানে শুরু হয়েছে নির্বাচনী আলোচনা।  ইতোমধ্যে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা লবিং তদবির শুরু করে দিয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ করোনা ইস্যুতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছে। 

এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ছাড় দেবে না বিএনপি। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হলেন, দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টার, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, দাউদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম জাহাঙ্গীর, নয়ন হোসেন । তবে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. হেলাল উদ্দিন সরকার। একটু কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছেন রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরিফ আহমেদ টুটুল । তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানা গেছে। ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলের ভোট পেতে তার এই চেষ্টা ।

এদিকে আওয়ামী লীগে তুমুল মনোনয়ন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা কেউ কাউ ছাড় দিতে নারাজ। তারা প্রত্যেকেই দলীয় চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রকাশের আগ পর্যন্ত মাঠে থাকবে।
এব্যাপারে সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমকে দাউপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টার বলেন, জনগণের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কাজ করেছি। আগামী নির্বাচনে আমি প্রার্থী হব। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনয়নের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, দাউদপুরের মানুষ পরিবর্তন চায়। চায় তরুণ নেতৃত্ব। আগামী নির্বাচনে দল এবং মাননীয় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সমর্থনে আমি প্রার্থী হব।

এটিএম জাহাঙ্গীর বলেন, দাউদপুরবাসীর প্রত্যাশা আগামি দিনের চেয়ারম্যান শিক্ষিত ভদ্র মার্জিত চরিত্রের অধিকারী হবে। দল এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক চাইলে আমি নির্বাচন করব।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এড. হেলাল উদ্দিন সরকার বলেন, আমি গত দশবছর যাবত মাঠে রয়েছি। সপ্তাহে ২ দিন গণসংযোগ করেছিলাম। আমি বিএনপির একক প্রার্থী।
তিনি আরো বলেন, আমার সাথে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সেক্রেটারি হুমায়ুন সহ সকল নেতৃবৃন্দ রয়েছে। এমনকি শাসক দলের অনেকের সাথে আমার সু সম্পর্ক রয়েছে। নির্বাচনে ভয়ের কোনো কারণ নেই।

নির্বাচনে বিএনপির অংশ গ্রহনের ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড.মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাউপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে আলোচনা করে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। আমাদের দুই জন প্রার্থী রয়েছে। সাবেক চেয়ারম্যান শরিফ আহমেদ টুটুল স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবে।

প্রসঙ্গত দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০১৪ সালে। সেই নির্বাচনে নুরুল ইসলাম বিজয়ী হয়। এর আগে চেয়ারম্যান ছিলেন শরিফ আহমেদ টুটুল। তিনি ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। দাউদপুরে প্রায় ৩৩ হাজার ভোটার রয়েছে। এবারের নির্বাচনে নানা সমীকরণ দেখা দিয়েছে। ৫ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির দুই হেভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশীর বাড়ি। তারা হলেন আওয়ামীলীগের তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, বিএনপির এড. হেলাল উদ্দিন সরকার।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *