তারাবতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী আটক

তারাবো পৌরসভা রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ

নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম:

রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভা নির্বাচনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। তিনটি ব্যক্তিগত গাড়ি ও ছয়টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
মঙ্গলবার ( ১২ জানুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নোয়াপাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও প্রার্থী আনোয়ার হোসেন (ডালিম মার্কা) এবং রুহুল আমিন ফরাজীর (উটপাখি মার্কা) সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন, রুহুল আমিনকে আটক করা হয়েছে।
এব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন , দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। তাদের বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে চালান করে দেওয়া হয়েছে। দুই কাউন্সিলর প্রার্থী পৃথক দুইটি মামলা করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকালে কাউন্সিলর প্রার্থী ও তারাব পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের পূর্ব নির্ধারিত গণসংযোগ করতে তার কর্মী সমর্থকরা বের হয়। গণসংযোগকারীরা নোয়াপাড়া ইসলামিয়া মহিলা আলীম মাদ্রাসা এলাকায় পৌঁছলে প্রতিদ্বন্দ্বি অপর প্রার্থী রুহুল আমিন মিয়ার কর্মী সমর্থকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গণসংযোগে বাঁধা প্রদান করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে রুহুল আমিন মিয়ার চাচা শ্বশুরের মালিকানাধীন পাশ্ববর্তী আবির টেক্সটাইলে মিলের শ্রমিকরা দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আনোয়ার হোসেনের সমর্থকদের উপর পুনরায় হামলা চালায়। হামলাকারীরা আশপাশের এলাকায় তান্ডব চালায়। এসময় একটি টিনসেট ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৩৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে টেক্সটাইল শ্রমিক মুজিবুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। অন্য আহতরা হলেন ইউসুফ (৩৩), তানভীর (৩৫), অমি (২৫), আলী মঞ্জুর (৪৫), হাবিব (৫০), খোরশেদ (৩৫), জোবায়ের (২৫), জাহাঙ্গীর (৫৫), মতিন, আলমগীর (৩১) হিমেল (২৪), রাসেল (১৯), সিদ্দিক (২৮) , রকিবুল ২৭), ইমরান (১৯),সাদ্দাম (৩৩), মিয়াজান (২২), আরজ আলী (৪৮), সরাফত (৩৫), রাজু (২৫), শাহেদ (৩৩), তারিক (২৪), মোবারক (৩২), জসিম (৩৭), ইলিয়াছ (৩৮), সোবহান (৪১) ও মোমেন (৪৭)সহ ৩৫ জন আহত হয়। আহতদের ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ‘গ’ সার্কেল মাহিন ফরাজী, নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার ও তারাব পৌর নির্বাচন রিটার্নিং অফিসার মতিয়ুর রহমান, রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিফা খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ।
কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, তাঁর পূর্ব নির্ধারিত গণসংযোগে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রুহুল আমিনের নিয়োজিত বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমার কর্মী সমর্থকদের উপর দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে সুপরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রুহুল আমিন ফরাজী বলেন, আমার নির্বাচনী গণসংযোগে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। নির্বাচনী মাঠে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় তারা এ হামলা চালিয়েছে।
জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান জানান , ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যাঁরা এ অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *