ডাকাতি মামলা রূপগঞ্জের ইয়ার হোসেনের কারাদণ্ড

ইউনিয়ন দাউদপুর ফিচার রূপগঞ্জ

ডাকাতি মামলায় ইয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ড প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক বেগম সাবিনা ইয়ামিন এ রায়ের ঘোষণা দেন। একই মামলায় ৭ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন- রূপগঞ্জ থানার হাটাব এলাকার মৃত. আবুল হোসেন এর ছেলে ইয়ার হোসেন (৩০)।

বেকুসর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- নরসিংদী জেলার মাধবদী এলাকার আ. মান্নান এর ছেলে আল-আমিন (২৪), রূপগঞ্জ থানার হাটাব দত্ত বাড়ী এলাকার আয়াত উল্লাহ’র ছেলে সোলেমান (২২), একই এলাকার ফায়জুল হকের ছেলে আমির হোসেন (২৪) ও দিলদার (২৮), মো. মিন্টর ছেলে ফারুক (২৬), ইদ্রিস আলীর ছেলে মতি (৩২) ও চাঁন মিয়ার ছেলে সামিদুল্লিাহ (২৫)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, ২০১০ সালের ১৩ জুলাই রাত আড়াইটার সময় মো.মোজাম্মেল হকের পশ্চিম ভিটায় পূর্ব দুয়ারী বসত ঘরের দরজা ভেঙ্গে অজ্ঞাত নামা ১৫/১৬ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রবেশ করে ষ্টীলের আলমারী ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নেওয়ার সময় মোজাম্মেল হক বাধা দেওয়ায়। সে সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মোজাম্মেল হক দলের একজন সদস্যের কাপড়ের মুখোশ টানদিয়ে খুলে ফেলে। তখন ডাকাত ইয়ার হোসেনকে চিনে ফেলায় ডাকাতরা তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে রামদা ও চাপাতি দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে মাথায়, ডানহাতে ও বাম হাতে রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম করে। প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হইয়া দূর্বল হইয়া মাটিতে পড়িয়া গেলে তার হাত-পা বাঁধিয়া খাটের উপর রেখে জবাই করার চেষ্টা করে। সে সময় মোজাম্মেল হকের স্ত্রী ও দুই সন্তান তাকে জড়িয়ে ধরে বাঁচানোর চেষ্টা করে। তবে, সে সময় মোজাম্মেল হকের স্ত্রীকে ডাকাতরা লোহার রড দ্বারা পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে ডান পায়ের হাটুর নীচের বিকৃত অংশ ভেঙ্গে ফেলে। সে সময় তাদের ডাক-চিৎকারে আশে-পাশে লোকজন এগিয়ে আসলে ডাকাতেরা সর্বমোট নগদ অর্থ ও মালামাল সহ ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭০০ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে চলে যায়। পরে মো.মোজাম্মেল হকের ছোট ভাই মো. জামিরুল হক মিয়া বাদী হয়ে ১৫/১৬ জনের বিরূদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩০(৭)১০ ও সেকশন নং ১০০০/১২।

এবিষয়ে বেঞ্চ সহকারী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি ইয়ার হোসেন বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো সত্য বলে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামিকে ৭ বছরের সশ্রমকারান্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছে। এছাড়াও মামলার অপর ৭ আসামির বিরূদ্ধে আনীত অভিযোগ গুলো সত্য প্রমাণিত না হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *