নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম:
আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ থেকে নিজের প্রার্থীতার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের জ্যেষ্ঠপুত্র ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা। মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল দুপুর দেড়টায় স্বশরীরে হাজিরে জেলা রির্টানিং অফিসার বরাবর মনোনয়ন প্রত্যাহারের কাগজ জমা দিয়েছেন। নির্বার্হী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন উপস্থিত থেকে তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহন করেন।
মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গাজী গোলাম মূর্তজা পাপ্পা বলেন, নেত্রীর ইচ্ছা আমার কাছে আদেশ। ১৯ বছর ধরে দলের সক্রিয় রাজনীতি করি। অনেক জায়গায় অনেকে আমাকে অনেক কথাই বলেছে। কিন্তু বাংলাদেশের কোথায় কি হচ্ছে সেটা আমার কাছে জানার বিষয় না। রূপগঞ্জ জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘাটি। এখানে আমরা উনার ইচ্ছা এবং দলের যে ইচ্ছা সেটা প্রতিপালন করার চেষ্টা করি। দলের সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান করি। রূপগঞ্জের হাজার হাজার নেতাকর্মী আমাকে নির্বাচন করার জন্য অনুরোধ করেছে আমি তাদের কথা রাখতে পারলাম না। তার জন্য আমি দুঃখিত।
তিনি বলেন, আমি আজকে সরাসরি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসছি। আমি যদি রূপগঞ্জে যেতাম অনেকেই আমাকে বাধা দিতো কান্নাকাটি করতো। কিন্তু এটা হচ্ছে দলীয় শৃঙ্খলা। ছোট ছোট শহর গুলোতে যদি আমরা দলের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি তাহলে এতে আমাদের দল উপকৃত হবে।
পাপ্পা গাজী আরও বলেন, একটা ব্যক্তির থেকে দল বড়। দলের চেয়ে আমাদের বাংলাদেশ বড়। প্রত্যাহারের কারনটাই হচ্ছে আমাদের দল, আমাদের নেত্রীর সম্মান। ভোটারদের আমি অনুরোধ করবো, ভোট দেওয়া জনগনের সাংবিধানিক অধিকার। তারা যেন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোট প্রদান করেন। আমি অনুরোধ করবো ভোট কেন্দ্রে উনাদের পছন্দের প্রার্থী সে যেই হোক তাকে যেন ভোটটা প্রদান করেন।
প্রসঙ্গত এমপি -মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্য কিংবা নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২১ মে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এই ভোট গ্রহণ সকাল ৮ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। এবার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ২ জন। তারা হলেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হোসেন রানু, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান।