চাঞ্চল্যকর তানজিলা হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার

ইউনিয়ন দাউদপুর শীর্ষ সংবাদ

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

রূপগঞ্জে চাঞ্চল্যকর তানজিলা হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামী মোঃ সোহরাব হোসেন ওরফে তোরাব হোসেন মোল্লা (৩৬)কে গ্রেফতার করেছে পিবিআই নারায়নগঞ্জ। গত ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় রাজধানীর ভাটারা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামি দাউদপুর ইউনিয়নের বড় বাগলা এলাকার মৃত আবুল কাশেম আলী মোল্লার ছেলে। মামলার ভিকটিম তানজিলার পিতা হাাবিবুর (৫৬) গত ৮ মার্চ (০৮/০৩/২০২০ ইং) রাতে অভিযোগ দায়ের করেন, যে গত ০২ মাস পূর্বে বাদীর ছোট মেয়ে মোসাঃ তানজিনা (২২) এর সাথে আসামী মোঃ সোহরব ওরফে তোরাব মোল্লা (৩৬) এর সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর হইতে বাদীর মেয়ে বিবাদীর বসত বাড়ীতে বসবাস করে। তার মেয়ের বিবাহের পূর্বে বিবাদী সোহরব ওরফে তোরাব মোল্লা আরো ৩টি বিবাহ করেছে। বাদীর মেয়েকে বিবাহের সময় বিবাদী পূর্বের বিবাহের কথা গোপন রাখে। আসামী সোহরব ওরফে তোরাব মোল্লা এর ভাবী আসামী ২। জোহরা (৩৫) (স্বামী-রহিম মোল্লা) উক্ত আসামীকেভিকটিমের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য প্রায়ই কু-পরামর্শ দিত। গত ৭ মার্চ পারিবারিক বিষয়াদী নিয়ে ২নং বিবাদীর কু-পরামর্শে প্রধান বিবাদীর সাথে বাদীর মেয়ের ঝগড়া বিবাদ ঘটে। ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে প্রধান বিবাদী বাদীর মেয়েকে তার ঘরের মধ্যে আটকাইয়া এলোপাথারী কিল ঘুিষ মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং বাদীর মেয়ের মাথা দেওয়ালের সাথে ঠুকিয়া মাথায় জখম করে। ফলে বাদীর মেয়ে গুরুত্বর আহত হয়। পরে ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য এম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় নেওয়ার পথে উত্তরা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার বাদীর মেয়েকে মৃত বলিয়া ঘোষনা করেন। নিহতের পিতা রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৩, ( ০৮/০৩/২০২০ ইং ) ধারা ৩০২/১০৯ পেনাল কোড। মামলাটির তদন্ত করেন ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলাম। তিনি মামলার তদন্তভার গ্রহন করে মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আলামত জব্দ করেন। এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় পিবিআইকে তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। মামলাটি পরবর্তী তদন্তের জন্য পিবিআইতে বদলী হওয়ায় পুলিশ সুপার, পিবিআই নারায়নগঞ্জ জেলা মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মনিরুল ইসলামের নামে হাওলা করেন। তিনি মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মামলার প্রাথমিক তদন্তে তিনি মামলার ঘটনার সত্যতা পান এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ দিন পালিয়ে থাকা উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করেন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *