নিজস্ব প্রতিবেদক:
রূপগঞ্জে বিএনপির খড়া কাটছে না। দলটির একাধিক নেতা বলছে নতুন আহবায়ক কমিটিতে রূপগঞ্জ থানা বিএনপি আরও দুর্বল হচ্ছে। জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো তারা রূপগঞ্জে পালন করে না। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি আসলে বিএনপি নেতাদের মধ্যে কেউ আড়ালে চলে যায়, আবার কেউ রূপগঞ্জের বাইরে থাকে। এক অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে ২০০৯ সালে থেকে এখন পর্যন্ত যতগুলো জাতীয় অনুষ্ঠান হয়েছে তার একটিতেও রূপগঞ্জের বিএনপি নেতাদের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে শহীদ মিনারে কিংবা সরকারি মুড়াপাড়া কলেজ মাঠে দেখা যায়নি। একই দিনে রূপগঞ্জের অন্য এলাকাতেও করতে পারেনি। তবে দলীয় কিছু নেতা বলছে, গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপি নেতারা আড়ালে থাকে। ক্ষমতাসীন দলের দাপটে তারা মাঠে নামতে পারছে না। দলটির মধ্যে সাহসী নেতার অভাব। বিএনপির ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড কমিটিতে পদ বাণিজ্যের অভিযোগ । সম্প্রতি রূপগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব কর্তৃক প্রকাশিত ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটি স্থগিত হয়েছে। সেই কমিটিতে অনিয়ম এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠছে। সুত্রের খবর দাউদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব করা হয়েছে এড. হুমায়ুনের ফুফাত ভাই শফিকুলকে। তাতে অনেক নেতার ক্ষোভ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীর নামে বহু রাজনৈতিক মামলা আছে। রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব বাছির উদ্দিন বাচ্চুর নামে আপাতত কোনো মামলা নেই। তাহলে সে কিসের বিএনপি করে। তাকে কারা সাপোর্ট দেয়? দলকে সেটা ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। থানা বিএনপির আহবায়ক এড. মাহফুজুর রহমান হুমায়ুনের নামে আওয়ামী লীগ সরকারের ১৩ বছরের মধ্যে মাত্র দুটি মামলা হয়েছে শুনেছি। তাহলে কি সে দলের জন্য রাজপথে থাকে? সোমবার একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠান নারায়ণগঞ্জ গিয়ে পালন করে। রূপগঞ্জে শহীদ মিনারে ফুল দিতে দেখা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির অনেক ত্যাগী কর্মী যারা অনেক রাজনৈতিক মামলার আসামী , দলের জন্য বার বার যারা জেল খাটছে, তারা দলীয় বড় পদ থেকে বঞ্চিত।