রূপগঞ্জে লকডাউন সফল

ইউনিয়ন প্রশাসন ফিচার রূপগঞ্জ শীর্ষ সংবাদ

নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম: প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে রূপগঞ্জ ইউনিয়নে লকডাউন সফল হয়েছে। লকডাউনের আগে রূপগঞ্জ ইউনিয়নে করোনা রোগীর সংখ্যা ছিলো ৮১ জন। ইন্তেকাল করেছে ১ জন। সুস্থ ছিলো ৬৫ জন। লকডাউনের পরে ১৫৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে ৩৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয় । সুস্থ হয়েছে ৩৩ জন। মৃত্যু শূন্য। শুক্রবার ( ৩ জুলাই) পর্যন্ত রূপগঞ্জ ইউনিয়নে সর্বমোট করোনা রোগীর সংখ্যা ১২০ জন। তার মধ্যে সুস্থ হয়েছে মোট ৯৮ জন। লকডাউনের শেষ দিনে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো শূন্য। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধে অত্যাধিক ঝুঁকি বিবেচনায় (রেড জোন) গত ১১ জুন রাত ১২ টা থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ২১ দিন রূপগঞ্জ ইউনিয়নে লকডাউন পালন করা হয়। ছিলো সাধারণ ছুটি। লকডাউন বাস্তবায়নে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ মেডিক্যাল টিম মাঠে ছিলো। রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মমতাজ বেগম লকডাউন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার, রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার আফিফা খাঁনের নেতৃত্বে যৌথভাবে প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে রাত ৮/৯ পর্যন্ত প্রশাসন টহল দিয়েছে । লকডাউন অমান্য করায় ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা আদায় করেছে। নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক লকডাউন বাস্তয়নের জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছেন। মন্ত্রী লকডাউন চলাকালে বিভিন্ন বাড়িতে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে তার পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে লকডাউন সমাপ্ত ঘোষণা করেন রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম। লকডাউন বাস্তবায়ন টিমকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে মমতাজ বেগম বলেন, রূপগঞ্জে ইউনিয়নে কঠোর ভাবে লকডাউন পালিত হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছে। ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে সবজি ,মাছ , কাঁচাবাজারসহ ওষুধ পৌছে দেওয়া হয়েছে। তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনটা পয়েন্টে কঠোর নজরদারি ছিলো। যার ফলে বাহির থেকে কেউ ভিতরে প্রবেশ করেনি। ভিতর থেকে কেউ বাহিরে যেতে পারেনি। মোড়ে মোড়ে স্বাস্থ্যকর্মী ছিলো। তারা জরুরী চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোবাইল নাম্বার সাটিয়ে দেওয়া ছিলো।
তিনি বলেন, গাজী পিসিআর ল্যাবের মাধ্যমে লকডাউন এলাকায় দ্রুত করোনা পরীক্ষা করাতে পারছি। অন্য উপজেলায় নমুনা পাঠালে এত সফলতা পেতাম না। গাজী পিসিআর ল্যাবের মাধ্যমে দ্রুত শনাক্ত হয়েছে করোনা রোগী। তার জন্য ধন্যবাদ জানাই গাজী পিসিআর ল্যাব কর্তৃপক্ষকে। ল্যাবটির জন্য একজনের দ্বারা অপর জন সংক্রমিত হয়নি। যার ফলে সংক্রমনের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এখন ৮ জন করোনা রোগী চিকিৎধীন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, লকডাউনের ২১ দিনে রূপগঞ্জ ইউনিয়নে খেটে খাওয়া ৯ হাজার পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান ভুইয়া , উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সাঈদ আল মামুন , নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *