নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম: রূপগঞ্জ উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের গুতুলিয়া এলাকায় মমতাজ বেগম নামের এক বিধবা মহিলার ক্রয়কৃত জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছে সন্ত্রাসীরা। শুধু জমি দখলই নয়,জমিতে বিধবা মহিলাকে কোনো ধরনের কাজ করতে দিচ্ছে না সন্ত্রাসী বাহিনীর গডফাদার শাহিন। এই বৃদ্ধ বিধবা মহিলার এই জমি বাদে আর থাকার কোনো জায়গা নেই। জমি থাকতেও এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে থাকতে হচ্ছে এই বৃদ্ধ বিধবা মহিলার। বর্তমানে অসহায় মমতাজ বেগম ও তার এক কন্যাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় অসহায় মমতাজ বেগম প্রাণভয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র মানুষের বাড়িতে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে মমতাজ বেগম বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাননি। উল্টো মেম্বার-চেয়ারম্যানরা বলেন, এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিচার কি আমরা করতে পারবো? তারা তো অনেক শক্তিশালী? স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, ভোলাব ইউনিয়নের গুতুলিয়া গ্রামের ফজুল হকের স্ত্রী মমতাজ বেগম। মমতাজ বেগমের স্বামী ফজুল হক দীর্ঘ ৩০ বছর আগে কুকুরের কামড়ে মারা যান। ফজুল হক মারা যাবার পর তার স্ত্রী মমতাজ বেগম তার এক মেয়েকে নিয়ে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ভুয়ার কাজ করে জীবন যাপন করে আসছিল। স্বামীর মৃত্যুর পর মানুষের বাড়ি বাড়ি ভুয়ার কাজ করে এই জমিটুকু ক্রয় করেছিলো মমতাজ বেগম। তবে সন্ত্রাসী বাহিনীরা দীর্ঘদিন ধরে মমতাজ বেগমের ক্রয়কৃত জমি দখল করার চেষ্টা করে আসছে। এ প্রসঙ্গে অসহায় বিধবা মমতাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর মানুষের বাড়ি বাড়ি ভুয়ার কাজ করে এই জমিটুকু ক্রয় করেছিলাম । আজ আমার স্বামী ও ছেলে সন্তান নেই বলে সন্ত্রাসীরা আমার ক্রয়কৃত জমি দখল করার চেষ্টা করছে। সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন লোক দিয়ে বিভিন্ন সময় মারধরও করেছিলো। এছাড়াও কোর্ট থেকে দুই দুইবার রায় পেলেও আমার জমিতে ঘর-বাড়ি তৈরি করতে পারি না। আমার জমিতে ঘর-বাড়ি করতে এবং কেউ যাতে বাধা না দিতে পারে সে জন্য কোর্ট থেকে একটি সাইনবোর্ড দিয়েছে। তবে সেই সাইনবোর্ডটিও সান্ত্রাসীরা বার বার ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করছে। মাননীয় জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আকুল আবেদন আমি যেন আমার ক্রয়কৃত জমিতে ঘর-বাড়ি করে থাকতে পারি।