নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম:
করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করাতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে। সরকারিভাবে নির্ধারিত ফি হাসপাতালে ২’শ টাকা আর বাসায় ৫’শ টাকা এমন নিয়ম থাকলেও তিনি সাধারণ লোকজনের কাছ থেকে আদায় করতেন হাজারের অধিক টাকা।
কখনো কখনো ব্যক্তিভেদে এ টাকার পরিমাণ হয়ে যেত ৩ হাজার ৫ হাজার টাকা। সরকারি ফি নির্ধারনের পূর্বেও নমুনা পরীক্ষার সিরিয়াল আগে দিয়ে দিতো বলেও অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য সহকারী মতিনের বিরুদ্ধে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুলাই জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে চারজন রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিতে আসেন। এ সময় স্বাস্থ্য সহকারী মতিন তাদের প্রতিজনের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে গ্রহণ করেন। নমুনার সংগ্রহের ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও করোনা পরীক্ষার রির্পোট না পেয়ে গত ১৩ জুলাই দুপুরে ওই চারজন রোগী রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে মতিনকে রিপোর্টের দেওয়া কথা বলেন। এ সময় মতিন তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। ওই চার জন রোগীর নমুনা পরীক্ষায় প্রতিজন থেকে ১ হাজার টাকা গ্রহণ করেও রিপোর্ট দিতে দেরী হওয়া নিয়ে আব্দুল মতিনের সঙ্গে তাদের বাক বিতন্ডা হয়।
এক পর্যায়ে ওই চারজনসহ আরো কয়েকজন ভুক্তভোগী একই অভিযোগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনেই আব্দুল মতিনকে গণধোলাই দেয়। এ সময় চিৎকার শুনে হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আব্দুল মতিনকে উদ্ধার করে চিকিৎসা প্রদান করেন বলে জানা গেছে ।
গণধোলাইয়ের পর থেকেই আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে করোনা নমুনা সংগ্রহের সময় অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ আসতে থাকে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল মতিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে এ ব্যাপারে কোন প্রকার মন্তব্য করতে রাজী হননি।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সাইদ আল মামুনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।