রূপগঞ্জে কবরস্থানের পাশে ধর্ষণ

ইউনিয়ন গোলাকান্দাইল ফিচার শীর্ষ সংবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদন: কাজ শেষে বাসায় ফেরার জন্য রূপগঞ্জে এক (২২) নারী গার্মেন্টস কর্মী রিক্সা খুঁজছিল । রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এক অটোরিক্সা চালকের গাড়িতে উঠেন ওই তিনি । কিছু দূর যাওয়ার পরে ওই নারীর বাসার রাস্তা দিকে না গিয়ে রিক্সাটি যাচ্ছিলো উল্টো পথে। তখন কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন ? এ প্রশ্ন করলেই দ্রুত চালিয়ে নিয়ে যায় রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল নতুন বাজার বাঘমোচড়া কবরস্থানের পাশে। এরপর প্রথমে ধারালো ছুড়ির ভয় দেখিয়ে পড়নের ওড়না দিয়ে মুখ ও রশি দিয়ে হাত পা বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ওই গার্মেন্টস কর্মীকে। এরপর ধর্ষণ শেষে স্বর্ণের ঝুমকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে ১ জানুয়ারি দিবাগত রাতে। ৮ জানুয়ারি রূপগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন ওই ভুক্তভোগী নারী।

এঘটনায় শুক্রবার গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আসামিকের আদালতে উঠায় পুলিশ। পরে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রে ফাহমিদা খাতুন এর আদালত ২ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোর্ট পুলিশের এএসআই অর্জুন কুমার।

অভিযুক্ত ওই রিক্সা চালক হলেন- কিশোরগঞ্জ সদর থানার বীর ধামপাড়া এলাকার মো. হারুন বীর এর ছেলে শাহীন বীর (২৬)। আসামির বর্তমান ঠিকানা রূপগঞ্জ গোলাকান্দাইল নতুন বাজার (ইয়াকুব আলীর) বাড়ীর ভাড়াটিয়া।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি শাহীন বীর পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালক। সেখানেই একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে কাজ করত ওই নারী। দিবাগত ১ জানুয়ারি রাত ১২ টায় কর্মস্থল বের হয় ওই নারী। তখন চালক শাহীন আগে থেকেই রিক্সা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সেখানে। নারী বাড়ি যাবে বলে তার রিক্সায় উঠে। কিন্তু শাহীন বীর তার বাড়ি যাওয়ার রাস্তা না গিয়ে উল্টো পথে যায়। সে সময় নারীটি লোক লজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে বলেনি। কিন্তু গত ৪ জানুয়ারি চালক শাহীন বীর ওই নারীর আইটেল সিমের ফোন থেকে নারীর স্বামীর নাম্বারে ফোন করে বলে যে, তার স্ত্রীকে সে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। এরপর স্বামী ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে ওই নারী ঘটনা সব খুলে বলে। তারপর ওই নারী রূপগঞ্জ থানায় গিয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *