মাটি চুরিকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

শীর্ষ সংবাদ

রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের মাটি চুরিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে অফিস এবং মটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে হাটাব এলাকায় স্থানীয় দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই চক্রটির ভয়ে হাটাব এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা গেছে  রূপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের মাটি চুরির মহোৎসব চলছে। উপজেলার হাটাব এলাকার শুকতারা গ্রুপের পাশে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের মাটি চুরি করে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে হাবিবুর রহমান শিশু ও শহিদুল ইসলাম অঞ্জন নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। প্রভাবশীদের ছত্রছায়ায় ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাটি কেটে নুরজাহান গ্রুপের একটি জমিতে রাখছে তারা। পরে সেই মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছে বলে জানা গেছে।

মাটি চোরের চক্রটি রাতের আধাঁরে অবৈধ ভাবে মাটি কাটছে শীতলক্ষ্যার তীর থেকে। বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে নদী তীরের মাটি কেটে নেয়ায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। প্রভাবশীদের সহযোগীতায় হাবিবুর রহমান শিশু ও শহিদুল ইসলাম অঞ্জন বাহিনী এই কর্মকান্ড করছে। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী কাউকে কিছু বলতে পারে না বলে জানা গেছে।
মাটি চুরির বিষয়ে হাবিবুর রহমান শিশু’বলেন, আমি মাটি চুরি করি না। শুকতারা গ্রুপ মাটি কাটে। আমি তাদের জমি নিয়ে দিয়েছি। তারা রাতে যখন মাটি কাটে তখন সেই মাটি আমি অন্যস্থানে সরিয়ে রাখার কাজ করি। বিআইডব্লিউটিএ থেকে মাটি কাটার অনুমোদন আছে বলে তিনি দাবি করেন।
বিআইডব্লিউটিএ উপ পরিচালক মাসুদ কামাল জানান, শুকতারা নামের একটি প্রতিষ্ঠান কে অনুমোদন দেয়া হয়েছে মাটি কাটার জন্য। তবে রাতের আধারে সেখানে যদি অন্য কোন চক্র মাটি চুরি করে তাদের বিষয়টি দেখা হবে। সেই এলাকা পর্যবেক্ষনের জন্য প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম বলেন, এই মাটি চুরির বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কেউ যদি শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের মাটি চুরি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *