দুর্যোগে উধাও কাজী মনির

রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ


নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম:

ভোটের সময় হলে তিনি রূপগঞ্জে আসেন। ভোট শেষ হলে তিনি রূপগঞ্জ থেকে চলে যান। ভোট পরবর্তী তাকে বাটি চালান দিয়েও অসহায় মানুষ খুজে পায় না। তিনি হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান। আবার তিনি শিল্পপতি। তার রয়েছে শিল্পকারখানা । শ্রমিকদের বেতন আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা । করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত নারায়ণগঞ্জ। থেমে গেছে অর্থনীতির চাকা। কর্মহীন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। বাড়ছে খাদ্য সংকট । নারায়ণগঞ্জে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দরিদ্র মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকেও ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ বিতরণের খবর পাওয়া যায় নি। দেশের ক্রান্তিকালে তিনি রূপগঞ্জের সাধারণ মানুষের পাশে নেই। বিএনপির তৃণমূল কর্মীরাও দেশের ক্রান্তিকালে তাকে খুজে পাচ্ছে না। তিনি থাকেন ঢাকায়। দলীয় পদ এবং মনোনয়নের জন্য ব্যয় করেন কোটি টাকা। অথচ করোনা দুযোর্গে সে ১ কেজি চালও দেয় নি দরিদ্র মানুষকে। তারাব পৌরসভার কাজীপাড়ায় এলাকায় তার বাড়ি। সেখানে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব নাসির উদ্দিনের পক্ষে ত্রাণ বিতরণ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এড. রুহুল কবির রিজভী। সেখানেও তিনি ছিলেন না। মনে হচ্ছে তার কদর কমেছে।
এদিকে রূপগঞ্জে অদৃশ্য দানব করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন নারায়ণগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। মন্ত্রীর ব্যক্তিগত অর্থায়নে কাঞ্চনে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য গাজী কোভিড-১৯ রিয়েল টাইম পিসিআর টেস্ট ল্যাব চালু হয়েছে। রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন , পুলিশ সুপারের কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন সহ জেলার প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জীবাণুমুক্ত রাখতে গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক জীবাণুনাশক টানেল স্থাপন করে দিয়েছেন। গাজী গ্রুপের উদ্যোগে জেলার প্রত্যেকটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নাসিক , সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কোভিড-১৯ সুরক্ষা বুথ স্থাপন হয়েছে। যার মাধ্যমে দ্রুত নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। গাজী পরিবারের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। রূপগঞ্জে খেটে খাওয়া কর্মহীন দরিদ্র পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের বড় ছেলে গাজী গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা বিসিবি ও যমুনা ব্যাংকের পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ লাখ , তারাব পৌরসভাকে ১০ লাখ ,কাঞ্চন পৌরসভাকে ৫ লাখ টাকার খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। তারা এ খাদ্য সহাতায় দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আরেক সাবেক সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড.তৈমূর আলম খন্দকার এবং বিএনপির কেন্দ্রী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দীপু ভূইয়া রূপগঞ্জে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। তৈমূরের নির্দেশে কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছে ছাত্রদল,যুবদল, কৃষক দল। এড.তৈমূর আলম খন্দকার এবং কাজী মনিরুজ্জামানের বাড়ী তারাব পৌর এলাকায়, ভুলতা এলাকায় দীপুর বাড়ি । তারা তিনজন গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ১ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কাজীর টাকার কাছে তারা হেরে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছে। সেই নির্বাচনে ধানের শীর্ষের প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের কাছে হেরে যায়। করোনা দুর্যোগে তৈমূর- দীপু কাজীর এলাকায় খাদ্য বিতরণ করছে। আর তার খবর নেই। তিনি উধাও হয়ে গেছেন। অনেকে তার সহায়তা চায়। কিন্তু তাকে খুঁজে পায় না।
বিশ্লেষকরা বলছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্যোগ । পরবর্তী শতাব্দীতে এ রকম দুর্যোগ হবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *