তারাব পৌরসভার মশা নিধন

তারাবো দুর্ভোগ পৌরসভা শীর্ষ সংবাদ

নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম:

আসছে বৃষ্টির মৌসুম। এ সময়টাতে তারাব পৌরবাসী একদিকে যেমন জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পড়ে, অন্যদিকে তেমনি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নামক দুটি রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় থাকে।

গত বছর ঢাকাসহ সারা দেশে ডেঙ্গু মহামারীর রূপ নিয়েছিল। ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা সাধারণত স্বচ্ছ, স্থির ও পরিষ্কার পানিতে বংশবিস্তার করে। স্বাভাবিকভাবেই বৃষ্টির কারণে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ঠেকাতে তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী আগাম প্রস্তুতি নিয়েছেন। পৌর এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিধন অভিযান শুরু হয়েছে। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে মেয়র হাছিনা গাজী  কাউন্সিলরদের মশা নিধনের নির্দেশ নিয়েছেন। পৌরসভার মশা নিধন টিম প্রতিদিন বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজ করছে। গতকাল  তারাব পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক এবং মেয়র হাছিনা গাজীর নির্দেশে স্থানীয় কাউন্সিলর আতিকের তত্ত্বাবধানে দিঘীবরাব, রসুরপুর, যাত্রামুড়া এলাকায়  মশা
নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এরআগে ৪ নং ওয়ার্ডের রূপসী বাগবাড়ি এলাকায় মশা নিধন করা হয়। জানা গেছে প্রতিটা ওয়ার্ডে মশা নিধন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এব্যাপারে তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী বলেন, বিশ্বব্যাপী এখন করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশেও এর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরে করোনাভাইরাসের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। তারাব পৌর এলাকায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে । পৌরসভা এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।  করোনাভাইরাস সংগ্রহের জন্য নমুনা সংগ্রহ, মৃত দেহের সৎকার , জীবাণুনাশক পানি ছিটানো, সতর্কতামূল প্রচারণা, মশক নিধনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় কর্মহীন দরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। দেশের এই দুর্যোগকালে তারাব পৌরসভার অনুকুলে ১০ লাখ টাকার আর্থিক অনুদান, জীবাণুনাশক টানেল, পিপিই ,হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েছেন গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। করোনা মোকাবেলায় সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। পৌরবাসীকে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন মেয়র।

তিনি বলেন, করোনা দুর্যোগে ডেঙ্গুর আক্রমন ঠেকাতে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং মশা নিধন হচ্ছে।  ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত জ্বর। অন্যান্য ভাইরাসজনিত জ্বরের মতো ডেঙ্গুর সরাসরি প্রতিষেধক নেই, টিকাও নেই। লক্ষণ অনুযায়ী এর চিকিৎসা করা হয়। জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেলে ডেঙ্গুর প্রকোপ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। বর্ষা মৌসুমে কোথাও যাতে স্বচ্ছ পানি না জমে সেদিকে পৌরবাসীকে খেয়াল রাখতে হবে। কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে যথাসম্ভব দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বাড়ির চারপাশে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *