আগুনে পুড়ে সবশেষ

ইউনিয়ন গোলাকান্দাইল ফিচার

নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের মাহনা এলাকায় আগুনে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে গেলো পারভীনের পরিবার। সবাই তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। হঠাৎ আগুন আগুন চিৎকার শুনতে পেয়ে ঘুম ভাঙে মাহনা এলাকাবাসীর। ঘুম ভাঙতেই সবাই দেখতে পান চারিদিকে আগুনের লেলিহান শিখা। স্বামী ৭ বছর ধরে প্যারালাইসিস রোগী, ছেলে ছোট তাদের দেখার মতো কেউ ছিলো না। শেষ সম্বল ছিলো একটি দোকান, তা দিয়ে প্যারালাইসিস স্বামীর চিকিৎসা আর ছেলের লেখা পড়ার খরচ চালিয়ে ভালোই ছিলেন পারভীন। এছাড়াও পারভীন এই দোকান চালিয়ে তিন মেয়ে বিয়েও দিয়েছেন। সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে স্বপ্নের যে জাল বুনেছিলেন তা চোখের সামনে পুড়তে দেখেন পারভীনের পরিবার। মাহনা এলকার মেম্বার রফিকুল ইসলাম রফিকের ডাকে এলাকার নারী-পুরুষ মিলে, প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও তার আগেই ভেঙে যায় পারভীনের স্বপ্ন। তবে মেম্বার রফিকুল ইসলাম রফিকের ডাকে এলাকাবাসী ছুটে না আসলে পারভীনের দোকানের পাশে আরো যেসব ঘর-বাড়ি রয়েছে সেসব পুড়ে ছাই হয়ে যেত এমনটাই মনে করছেন মাহনা এলাকাবাসী। শনিবার (৪এপ্রিল) রাত ২টার দিকে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের মাহনা এলাকার প্যারালাইসিস রোগী কেরামত আলীর স্ত্রী পারভীন আক্তারের দোকানে লাগা আগুনে নিঃস্ব হয়ে যায় পারভীন। এক ঘন্টার আগুনে দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় চারিদিকে পড়ে আছে পোড়া টিন এবং দোকানে থাকা আসবাবপত্র। কেউ কেউ পুড়ে যাওয়া মূল্যবান জিনিসপত্র খোঁজার চেষ্টা করছেন। আর একদিকে কেরামত আলীর মাথায় হাত অন্য দিকে পারভীন বিলাপ করছেন। রাতের আগুন লাগার বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন পারভীন। পারভীন জানান,ঘুমের মধ্যে আগুনের ধোয়া চোখে-মুখে লাগে এবং পাশের বাড়ির আরেক জন জানান তদের দোকানে আগুন লাগছে। এমনটা শুনে ছুটে গিয়ে দেখি আগুনের লেলিহান শিখা। এখন আমার স্বামী এবং সন্তান দেখার মতো কেউ নেই এই দোকানই আমাদের শেষ সম্বল ছিলো। এই দোকানের সমস্ত টাকা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া। এখন বিভিন্ন ব্যাংকের কিস্তি দিবো কি করে। আমার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১০ লাখ টাকার মতো হবে।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *