নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম:
রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার (মেয়র রফিকুল ইসলামের বাড়ির পাশে বেপারীপাড়া ) জামে মসজিদের ওজুখানার ছাদ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অস্ত্র মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১ জুলাই রূপগঞ্জ থানায় মামলাটি হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন , কাউসার মোল্লা, মেয়র রফিকের ভাই সন্ত্রাসী সফিক, আবুল ওরফে বোমা আবুল, নজরুল, ফাহিম, সজিব মিয়া, মতিন, আক্তার হোসেন, সুজন, জুম্মন, শাহাদাত, খান সোহেল, শরীফ, আবিদ, রিয়াদ, মাসুম, অপু মিয়া, আমিনুল, আরিফ। আসামিদের বর্তমান ঠিকানা রূপগঞ্জ। এছাড়া ১০০/১২০ কে অজ্ঞাত আসামিরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ৩০ জুন রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার (মেয়র রফিকুল ইসলামের বাড়ির পাশে বেপারীপাড়া ) জামে মসজিদের ওজুখানার ছাদ থেকে রামদা, ছোড়া, সামুরাই, চাপাতি ও চাইনিজ কুড়ালসহ শতাধিক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয় । এসময় কাউছার (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ।
মেয়র রফিকুলের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা সফিকুল ইসলাম ওই মসজিদটির সভাপতি তা জানা গেছে । আটককৃত কাওসার ভোলাব করাটিয়া এলাকার আলী হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয়ভাবে রফিকুল ইসলামের অনুসারী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। নারায়ণগঞ্জের সহকারি পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) আবির হোসেনের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক পুলিশ অভিযানে অংশ নেন।
এদিকে এসব অস্ত্রের সঙ্গে রফিকুল ইসলাম ও তার দুই ভাইয়ের সম্পৃক্ততা আছে বলে অস্ত্র উদ্ধারের পর দাবি করেন কাঞ্চন পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল। তিনি বলেন, ‘রফিকুল ইসলাম ও তার দুই ভাই মিলে কাঞ্চনকে সন্ত্রাসের রাজত্বে পরিনত করেছে। কেবল দেশিয় অস্ত্র নয়, বিভিন্ন সময় তার ভাইয়ের নেতৃত্বে এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা গেছে। মঙ্গলবারও কাঞ্চনে ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়েছে। পুলিশকে সেসব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।’ আটক কাওসারকে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী দাবি করে গোলাম রসুল বলেন, ‘সফিকুলের বাহিনীতে কাওসারের মতো এমন শতাধিক লোক রয়েছে। তারা কাঞ্চনসহ আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়।’
মেয়র রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গোলাম রসুল রাজনৈতিক কারনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।