নিউজ রূপগঞ্জ ডটকম:
রূপগঞ্জ উপজেলার পশি মৌজার কৃষকের ১ একর ৪৭ শতাংশ ফসলি জমিসহ অবৈধভাবে দখলে নিয়ে পুলিশ পাহারায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মৃধার বন্ধুর পরিচয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে প্রভাবিত করে চট্রগ্রামের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান এ প্রাচীর নির্মাণ করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের নাসরিন সুলতানার ১৮ শতাংশ, আমজাদ হোসেনের ৩২ শতাংশ,আব্দুস সাত্তারের ৪ শতাংশ, শফিউল্লাহর ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, শাহজাহানের ১৮ শতাংশ, কামাল হোসেনের ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ , নজরুল ইসলামের ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ, আমিনুল ইসলাম মজিদের ৩০ শতাংশ, শিরিন সুলতানার ৮ শতাংশ, গোলাম সারোয়ারের ৭ শতাংশ, ইউছুফ আহমেদের ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, বিজলী বেগমের ৭ শতাংশ জমি না কিনেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কৃষকদের ফসলি জমি না কিনে সিমানা প্রাচীর নির্মাণ করার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তারা আবেদন করেছেন। কিন্তু কোন ফল হচ্ছে না।
নির্মাণকারীর নিওজিত স্থানীয় সন্ত্রাসীরা কৃষকদের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছে। হামলা মামলা ও প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে কৃষকদের জিম্মি করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। গোয়ালপাড়া গ্রামের কৃষক শফিউল্লাহ বলেন, আমাদের জমি ক্রয় না করেই আমাদের কৃষি জমিতে সীমানা প্রচিীর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করলেই হামলা, মামলা ও পুলিশের ভয় দেখানো হচ্ছে। আবৈধভাবে নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর বন্ধ করা না হলে কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সিমানা প্রাচীর নির্মাণকারী মাহফুজুর রহমান বলেন, আমার ক্রয়কৃত জমিতেই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে কিছু জমি এখনো কেনা হয়নি। ক্রয়ের জন্য চেষ্টা চলছে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিমউদ্দিন পুলিশের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।