নিজস্ব প্রতিবেদক:
রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এখনো অধরা। সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে মহড়া দিচ্ছে। ছিনতাই, ডাকাতি, মানুষের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট করছে। আবার কাউকে জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার। এসব সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী যুবলীগ পরিচয়দানকারী সন্ত্রাসী রাজিব হোসেন , চাঁদাবাজি, মৎস খামার দখল, জমি দখল, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। রাজিব হোসেনসহ তার সহযোগী মাছিমপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী, রিয়াজ হোসেন, বাবুুসহ ২৫/৩০ জনের একটি দল প্রায়ই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় এবং ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। অস্ত্রহাতে মহড়া দেওয়ার ঘটনা পেশিশক্তির নগ্নতা প্রকাশ হিসেবে মনে করছে তারা। মাহমুদাবাদ ও মাছিমপুর এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র সহ নানা ধরণের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারসহ চাঁদাবাজি করাই অস্ত্রধারীদের মূল লক্ষ্য।
গত ৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর পৌনে একটায় মুড়াপাড়া ইউপি চেয়রম্যান আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ আলমাছ সস্ত্রীক নিজ বাড়ি মাছিমপুর যাওয়ার পথে রাজিব ওরফে পিস্তল রাজিব, মোহাম্মদ আলী, বাবু, রিয়াজসহ ১০/১২ জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যানের গাড়িতে হামলা করে এবং বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় চেয়াম্যানকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের জিম্মিদশা থেকে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে। এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবি করেছে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, সন্ত্রাসীরা যে দলেরই হোক কোন ছাড় দেওয়া হবে না। অস্ত্র উদ্ধারসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।