পিছাতে শিখি নাই : পাপ্পা গাজী

ইউনিয়ন কায়েতপাড়া রাজনীতি শীর্ষ সংবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজী গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা বিসিবির পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেছেন, আমার বাবা আমাকে একটা গান শিখিয়েছিলো। যদিও এটা পুরাতন গান। সেই গান একুশে ফেব্রুয়ারি গাই। ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়। এখন দেখি কায়েতপাড়াবাসী গায় ওরা আমার গ্রামটা কাইরা নিতে চায়।
কায়েতপাড়াবাসীর উদ্দেশ্যে তরুণ এই শিল্প উদ্যোক্তা বলেন, একভাই আমাকে বলেছে গতবার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারি নাই। এবার চেয়ারম্যান পদে ভোটটা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েন। আমি তাকে বলেছি এবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। জনগণের শক্তির উপরে পৃথিবীতে কোনো শক্তি নেই। কায়েতপাড়াবাসী যাকে চাইবে সেই চেয়ারম্যান হবে।
তিনি বলেন, খেলা হবে । মামলা-হামলা কত করবে করুক আপনারা ভয় পাবেন না। আমার দল, আমার পিতা , আমার পরিবার আপনাদের সাথে আছে এবং থাকবে। যারা শ্রম দিয়ে আওয়ামী লীগকে সু সংগঠিত করেছে। তাদের এই দলের প্রতি যতটা মায়া থাকবে । অন্য কারো এই দলের প্রতি মায়া থাকবে না।
পাপ্পা গাজী বলেন, ১৯৮৭ সাল থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আমার মা তার ব্যাগে সেভলনসহ কিছু ওষুধ রাখত। যারা আন্দোলন করে আহত হয়ে আমাদের বাড়িতে এসেছে তাদেরকে সেই ওষুধ দিয়ে সেবা করেছে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে তিনি নেতাকর্মীদের উৎসাহ দিয়েছেন। আমার বাবা আওয়ামী লীগের জন্য রাজপথে আন্দোলন করেছে। জেল খেটেছে। আমরা সেই পরিবারের সন্তান। আর কিছু আছে তারা কোনোদিন বিরোধী দল দেখেন নাই। যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে সেই দলের নেতাদের কাছ থেকে বা সরকারের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নিয়েছে।
তিনি বলেন, সামনে পিছে বন্দুকধারী নয় আমার আছে কায়েতপাড়ার জনগণ। আমি কারো বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না। আমি নৌকার পক্ষে। যিনি আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা। দলের দুঃসময় দলের সাথে ছিলো। তাকে আগামী কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নিবাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিতে হবে।
গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, আমি কিন্তু হাটতে শিখেছি। সামনে আগাতে শিখেছি। পিছাতে শিখি নাই। যারা ভূমিদস্যু । যারা সন্ত্রাসী করে তারাই আমাদের শত্রু। আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। জায়েদ আলীর সাথে থাকবেন।
সোমবার ( ২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের পূর্বগ্রামে গাজী গোল্ডকাপ মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফানাইল খেলায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পাপ্পা গাজী বলেন ,আমার পরিবার ক্রীড়া সংগঠক। আমরা কায়েতপাড়ায় খেলার মাঠ করে দেবো। বিজয়ী দলকে অভিনন্দন। যারা পরাজিত হয়েছে তাদেরকেও অভিনন্দন জানাচ্ছি। তিনি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব জায়েদ আলীর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জি. শেখ সাইফুল ইসলাম, মতি আকন্দ, আলহাজ্ব তাবিবুল কাদির তমাল, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মেহের, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বজলুর রহমান, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন, কাউন্সিলর আতিকুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম ভুঁইয়া, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আক্তার রিতা, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনসহ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *